ল্যাব খতিয়ে দেখছেন কর্মকর্তারা। শুক্রবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
চিনা ভাষার পড়ুয়াদের জন্য বিশ্বভারতীতে চালু হল ‘ল্যাঙ্গুয়েজ ল্যাব’। শুক্রবার এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে চিনাভবনে ওই ল্যাবের উদ্বোধন হয়। এই উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কলকাতায় কর্মরত চিনের কনসাল জেনারেল মা চান উ এবং বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য স্বপন দত্ত। ল্যাঙ্গুয়েজ ল্যাব চালু হওয়ায় চিন-ভারত, দু’দেশের শিক্ষা-সাহিত্য এবং সংস্কৃতির আদানপ্রদানে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে আমন্ত্রিত বক্তারা মত প্রকাশ করেন।
এর গুরুত্ব কোথায়?
বিশেষজ্ঞদের দাবি, বিদেশি ভাষা শিক্ষায় জরুরি হল উচ্চারণের পাঠ। সঠিক উচ্চারণ করতে না পেরে শিক্ষার্থীদের অনেকেই লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেন না। ‘ল্যাঙ্গুয়েজ ল্যাব’ সেই অভাব মেটাবে। উচ্চারণের নির্ভুল পাঠ মিলবে। হোম ওয়ার্ক দেওয়া হলে শিক্ষকের অপেক্ষা না করেই ল্যাঙ্গুয়েজ ল্যাব-এ বসে সে কাজ করে নেওয়া যাবে। জানা গিয়েছে, অত্যাধুনিক মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যার দিয়ে তৈরি ওই ল্যাবে রয়েছে ২৪টি কম্পিউটার। শুধু শান্তিনিকেতনে বসেই নয়, চিনা থেকেও বিশেষজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্লাস করতে পারবে পড়ুয়ারা। এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ভাষাভবনের অধ্যক্ষ কৈলাস পট্টনায়ক, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য স্বপন দত্ত প্রমুখ।
বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রতিষ্ঠানে বহু বিদেশি ভাষা পড়ার সুযোগ থাকলেও এত দিন কোনও ভাষার ল্যাঙ্গোয়েজ ল্যাব ছিল না। এটাই প্রথম। বিভাগীয় প্রধান অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “২০১৫ সালের শেষে ল্যাঙ্গোয়েজ ল্যাবের প্রস্তাব পেয়ে প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারপরেই কাজ এগোয়।’’ ভাষা শিক্ষা এবং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এই ল্যাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে তাঁরও মত। ১৯৩৭ সালে বিশ্বভারতীতে চিনা ভবন তৈরি হলেও পড়ুয়াদের এমন অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা ছিল না। চিনের সরকারের উদ্যোগে আনুমানিক ৩৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই ল্যাব তৈরি হল।
ব্যাঙ্কে লুঠ। ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে ফেরার পথে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা লুঠপাটের ঘটনা ঘটল কাটোয়ায়। শুক্রবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের বাসিন্দা পলাশ কুণ্ডু সার্কাস ময়দান এলাকার একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে ফিরছিলেন। অভিযোগ, হেঁটে যাওয়ার সময় পিছন থেকে আচমকা কেউ এসে ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয়।