জয়েন্টে ভাষা-বিতর্কে ফের সরব বিরোধীরা, চিঠি এ বার মোদীকে

প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে মান্নান বলেছেন, যে নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে গুজরাত সরকার তাদের রাজ্যের ভাষা জয়েন্টে রাখার জন্য আবেদন করেছিল, সেই কারণ এখন আর প্রযোজ্য নয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৯ ০১:৫৫
Share:

প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান।

জয়েন্ট এন্ট্রান্স ( মেন) পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে গুজরাতি ছাড়া অন্য কোনও আঞ্চলিক ভাষা না রাখার বিষয়টি নিয়ে ফের সরব হল দুই বিরোধী কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে পথে নেমেছে তৃণমূল। বিরোধীরাও তার আগে দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের। এ বার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে মান্নান বলেছেন, যে নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে গুজরাত সরকার তাদের রাজ্যের ভাষা জয়েন্টে রাখার জন্য আবেদন করেছিল, সেই কারণ এখন আর প্রযোজ্য নয়। তা হলে সর্বভারতীয় এমন গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় শুধু একটি আঞ্চলিক ভাষায় প্রশ্নপত্রের ব্যবস্থা কেন? বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, ‘দেশের বহু ভাষারই সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্য আছে। তাদের সব ক’টিকে অগ্রাহ্য করে শুধু যদি এমন একটি ভাষাকে সুযোগ দেওয়া হয়, যা দেশের প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় শাসক দলের সর্বভারতীয় সভাপতির মাতৃভাষা, তা হলে বিষয়টি অন্য মাত্রা পায়’। ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)-র নির্দেশিকা প্রত্যাহারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

মান্নান বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘ভাষার ব্যাপারটা নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে বাক্‌যুদ্ধে চলছে। আমরা সমস্যার সমাধান চাই। এনটিএ-র বক্তব্যের জবাবে রাজ্য সরকার বলেছে, তারাও বাংলায় প্রশ্নপত্রের জন্য আবেদন জানিয়ে চিঠি দিয়েছিল। তা হলে সত্য উদঘাটনের জন্য রাজ্য সরকার সেই চিঠি প্রকাশ্যে আনুক।’’ বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘কেন্দ্রীয় সংস্থা তো ভাষা নিয়ে অন্য রাজ্যের মত জানতে চায়নি। তা হলে তারা শুধু একটি আঞ্চলিক ভাষাকে সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন? আর আমাদের রাজ্য যদি চিঠি দিয়ে থাকে, তা হলে সেই চিঠির প্রতিলিপি দেখাক সরকার।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন