ছবি পিটিআই।
কোভিড বর্জ্য সংগ্রহ ও তা নষ্ট করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশিকা মেনে চলার নির্দেশ দিল পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। এই মর্মে কলকাতা পুরসভা-সহ আসানসোল, দুর্গাপুর, হাওড়া, বিধাননগর, চন্দননগর, শিলিগুড়ি পুরসভাকে এই চিঠি পাঠিয়েছেন দফতরের যুগ্মসচিব জলি চৌধুরী। সূত্রের খবর, অন্যান্য পুরসভা এবং পরিবেশ দফতরেও চিঠির প্রতিলিপি গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে কোভিড বর্জ্য ও তার বিপদ নিয়ে ইতিমধ্যেই জাতীয় পরিবেশ আদালতে মামলা করেছেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। পরিবেশকর্মীদের সংগঠন 'সবুজ মঞ্চ' এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন।
পরিবেশ আদালতের মামলায় মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ যে হলফনামা দিয়েছিলেন তাতে বলা হয়েছিল জুন মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত রাজ্যে প্রায় ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার টন কোভিড-বর্জ্য তৈরি হয়েছিল। তা নিয়ম মেনে নষ্ট করার কথাও জানান। প্রশাসনের একাংশের মতে, একে তো মামলা এবং যে ভাবে কোভিড ছড়াচ্ছে তাতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কথা আরও এক বার স্মরণ করাতে চেয়েছে পুর দফতর। রাজ্য সরকার সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যেই নিয়ম মেনে পেশাদার সংস্থাকে দিয়ে এই বর্জ্য নষ্ট করানো হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নিয়ম অনুযায়ী, বাড়ি, সেফ হোম বা আইসোলেশন সেন্টারে এই ধরনের বর্জ্য অন্যান্য কঠিন বর্জ্যের থেকে আলাদা ভাবে সংগ্রহ করতে হবে এবং তা নির্দিষ্ট ব্যাগে ভরে আলাদা ভাবে জীবাণুনাশক রাসায়নিক ছড়িয়ে গর্ত করে পুঁতে দিতে হবে। কোভিড রোগীদের মাস্ক, টিস্যু, ন্যাপকিন চিকিৎসা-বর্জ্য হিসেবে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে নষ্ট করতে হবে। পিপিই-র ক্ষেত্রেও নিয়ম বলা রয়েছে। এমনকি কোভিড হাসপাতাল ও কোয়রান্টিন সেন্টারের নিকাশি ও তরল বর্জ্য নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে শোধন করতে হবে। এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের গ্লাভস, মাস্ক- সহ সব ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা দিতে হবে।
পরিবেশবিদ ও জনস্বাস্থ্য বিজ্ঞানীদের একাংশের দাবি, কোভিড বর্জ্যের ক্ষেত্রে এই নিয়ম মেনে চলা জরুরি। এর পাশাপাশি সাধারণ গৃহস্থ বাড়ি থেকেও মাস্ক, টিস্যুর মতো বর্জ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে সাবধানতা জরুরি। এই বর্জ্য নিয়ে সচেতনতা দরকার।