ফাইল চিত্র
ডায়মন্ড হারবারের সভা থেকে ‘ভাইপো’ আক্রমণের জবাব দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু স্লোগান তুলেছিলেন ‘তোলাবাজ ভাইপো হাটাও’। তার উত্তরেই রবিবার অভিষেক বলেন, ‘‘নারদায় টাকা নিয়েছিলে তুমি। তোলাবাজ তো তুমি।’’ যদিও শুভেন্দুর নাম নেননি তিনি। দুর্নীতি নিয়ে বারবার অভিষেককে আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু-সহ বিজেপি নেতারা। সেই নিয়েও অভিষেকের স্পষ্ট জবাব, কোনও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে ফাঁসির মঞ্চে তিনি নিজে যাবেন। কোনও ইডি, সিবিআই দিয়ে হয়রানি করতে হবে না।
শুভেন্দু বলেছিলেন, দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। সেই কথা উল্লেখ করে অভিষেকের কটাক্ষ, ‘‘যেমন উপসর্গহীন করোনা হয়, তেমনই উপসর্গহীন বিজেপি হয়ে তৃণমূলে ছিলেন শুভেন্দু।’’ এতদিন ধরে তৃণমূল করার পরেও শুভেন্দু সভায় বলেন, ২১ বছর তৃণমূল করার জন্য তিনি লজ্জিত। সেই প্রসঙ্গ টেনে অভিষেক বলেন, ‘‘এতই যদি লজ্জিত হতে হয়, তাহলে এখনও কেন বাবা-ভাইয়ের সঙ্গে একবাড়িতে আছেন?’’
এক নজরে দেখে নিন, সভা থেকে কী বললেন অভিষেক,
• আমাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি চলবে, নেত্রী যাঁকেই প্রার্থী করবেন, তাঁকে সামনে রেখে লড়তে হবে। সামনের নির্বাচনে এটাই লড়াই। উন্নয়নের বিষয়টা আমরা দেখব, বললেন অভিষেক।
• লড়াই তৃণমূল জিতবে, দাবি অভিষেকের।
• ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ইভিএম-এ হবে, আর কোথাও নয়, সমর্থকদের বার্তা অভিষেকের।
•বিজেপির সঙ্গে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন, তখন বিজেপির পতাকায় রক্তের দাগ ছিল না। তখন অটলবিহারী বাজপেয়ীর বিজেপি ছিল।’
• বুথে যদি বিজেপির লোক না থাকে, তাহলে আমরা কী করব।
• বাঙালি কি জিনিস, তা ভবিষ্যতে বুঝিয়ে দেব, বললেন অভিষেক।
• তৃণমূল ঘাসফুলের দল, যত ঘাস কাটবে, তত বাড়বে, বললেন অভিষেক।
• তৃণমূল থেকে চারটে খুচরো নিয়ে গেলে তৃণমূল শেষ হয় না।
• কয়লা পাচার, গরু পাচার নিয়ে সমস্ত দায় কেন্দ্রীয় সরকারের, অভিযোগ অভিষেকের।
• নোট বাতিলের সময় লাইন পড়েছিল, সেটি ছিল আতঙ্কের লাইন, আর দুয়ারে সরকারে লাইন পড়ছে, এটা ভরসার লাইন।
• বিজেপিতে গিয়ে পিঠ বাঁচাতে চাইছেন যাঁরা, তাঁদের বলছি, বাংলার মানুষ বোকা নয়।
• মেরুদণ্ড বিকিয়ে বিজেপিতে গিয়েছ তুমি।শুভেন্দুকে তীব্র আক্রমণ অভিষেকের।
• তৃণমূল করতে যদি এতই অপমানিত বোধ হয়, তাহলে এক বাড়িতে বাবা-ভাইয়ের সঙ্গে থাকেন কী করে?,শুভেন্দুকে প্রশ্ন অভিষেকের।
• উপসর্গহীন করোনার মতো, উপসর্গহীন বিজেপি ছিলেন শুভেন্দু।
• আগামী দিনেও ৩১-০ করব। চ্যালেঞ্জ দিলাম, ডায়মন্ড হারবারে বললেন অভিষেক।
• খালি এ দিক, ও দিক খেয়ে বেড়াচ্ছেন অমিত শাহ, কটাক্ষ অভিষেকের।
• দিল্লির কৃষক আন্দোলন নিয়ে মুখ খুললেন অভিষেক। বললেন, ‘‘দিল্লিতে আন্দোলনরত কৃষকদের কাছে যাওয়ার সাহস হচ্ছে না কেন?’’
• নাম নিতে পারে না আমার, এত ভয় কিসের ওদের?
• তোলাবাজি প্রমাণ করতে পারলে ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করে দাও, আমি নিজে .যাবো, বললেন অভিষেক।
• শুভেন্দুকে আক্রমণ অভিষেকের। বললেন, ‘‘নারদায় টাকা নিয়েছিল তুমি। তোলাবাজ তো তুমি।’’
• ক্ষমতা থাকলে ডায়মন্ড হারবারের সাতটি বিধানসভা নরেন্দ্র মোদীর হাতে তুলে দেখান।
• বাংলা কি আলু, পেঁয়াজ, জয়নগরের মোয়া, যে নরেন্দ্র মোদীর হাতে তুলে দিতে হবে?
• নাম করে বলছি, দিলীপ ঘোষ গুন্ডা।
• এখন অনেকে পাল্টিবাজি করে বিজেপি তে যোগ দিয়েছে।
• পানীয় জল পৌঁছে যাবে বাড়িতে বাড়িতে।
• ফলতা-মথুরাপুর প্রজেক্ট খুব তাড়াতাড়ি তৈরি হবে। বুথে বুথে জল তাড়াতাড়ি শুরু হয়ে যাবে।
• আমি যতদিন সাংসদ থাকব, ততদিন বেতন নেব না, কিন্তু কেন্দ্রীয় তহবিল বন্ধ করা চলবে না।
• সাংসদের প্রাপ্ত টাকা বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র।
• কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ থেকেই কনভয়ে প্রতিবাদ, বললেন অভিষেক।
• ১৪ মে, ২০১৯ সালে যাঁরা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছিল, তাঁদের বিজেপি নিয়ে এসেছিল কনভয়ে করে।
• এই মাঠেই পাঁচশো লোক নিয়ে মিটিং করেছে বিজেপি।
• আমাদের জনসভা করতে গেলে কলকাতা থেকে লোক আনতে হয় না। তিনটে ব্লক আর দুটি বিধানসভা থেকে লোক এসেছেন। তাতেই ভরে গিয়েছে মাঠ।