সাংসদ পদে ইস্তফা দেওয়ার পর দিল্লিতে নিজের বাসভবনে সাংবাদিক বৈঠক করলেন মুকুল রায়। কেন তৃণমূল ছেড়েছেন, তার ব্যাখ্যা দিলেন:
• প্রথমে বলা হল, অটলবিহারী বাজপেয়ী ভাল, কিন্তু লালকৃষ্ণ আডবাণী সাম্প্রদায়িক। কিছুদিন পরেই বলা হল, আডবাণী ভাল, মোদী সাম্প্রদায়িক। তার কিছুদিন পরেই বলা হল, মোদী ভাল, অমিত শাহ সাম্প্রদায়িক। নাম না করে এ ভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন মুকুল রায়।
• আমি বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক শক্তি বলে মনে করি না। সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর মন্তব্য মুকুল রায়ের।
• আমি শুধু তৃণমূল ছাড়লাম। কোন দলে যাব এখনও ঠিক করিনি।
• কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলকে মিলিয়ে দিক।
আরও পড়ুন:
লাইভ: কাঁচরাপাড়ার কাঁচরা বাবু গিয়েছেন, দল বেঁচেছে: পাল্টা পার্থর
সাংসদ পদে ইস্তফা দিলেন মুকুল, সাংবাদিক বৈঠকের আগে জোর জল্পনা দিল্লিতে
• তৃণমূল কখনও বিজেপির সঙ্গে যাচ্ছে, কখনও কংগ্রেসের সঙ্গে যাচ্ছে। কখনও তৃণমূল বলছে কংগ্রেসকে ছাড়া দেশ চলবে না, কখনও বলছে বিজেপিকে ছাড়া চলবে না।
• জাতীয় দলগুলিই দেশের ভাল করতে পারে বলে আমি মনে করি।
• ওয়ান-ম্যান পার্টি দেশের জন্য ভাল নয়। পরিবারতন্ত্র সারা দেশের ক্ষতি করছে।
• তদন্তের স্বার্থে তদন্তকারীদের সব রকম ভাবে সহায়তা করব।
• আমাকে সিবিআই ৮ ঘণ্টা জেরা করেছে। তার পর আটটা চার্জশিট দাখিল করেছে। আমার ধারণা, সিবিআই যা জানতে চেয়েছিল, তা তারা জানতে পেরেছে।
• নারদ-সারদার বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু জানতেন না। বললেন মুকুল রায়।
• ২০০৩ সালে আমরা আরএসএস-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই যোগাযোগ করেছিলাম। বললেন মুকুল রায়।
• তৃণমূল এমন একটা দল, যেখানে একজনই সব।
• ছ’মাস আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম দল ছাড়ার।
• আমি তৃণমূলে থেকে যেতে পারতাম, কিন্তু অন্যদের মতো মুখ বন্ধ করে থাকতে পারব না।
• কংগ্রেসের বিরোধিতার জন্যই যখন তৃণমূলের জন্ম, তখন বার বার কংগ্রেসের সঙ্গেই তৃণমূল যাচ্ছে না কেন? প্রশ্ন তুললেন মুকুল রায়।
• কংগ্রেসের বিরোধিতা করেই জন্ম হয়েছিল তৃণমূলের। তখন আমরা বিজেপির হাত ধরেছিলাম, এনডিএ শরিক হয়েছিলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী হয়েছিলেন। তখন বিজেপি সাম্প্রদায়িক ছিল না। আজ বিজেপি হঠাৎ সাম্প্রদায়িক হয়ে গেল কেন?
• মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেত্রী, কিন্তু আমরা চাকর নই।
• তৃণমূলের সব পদ থেকে আমি ইস্তফা দিলাম। হৃদয়ে গভীর যন্ত্রণা নিয়েই এ কথা জানাচ্ছি।
• তৃণমূল কংগ্রেসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগদানের কথা আমিই জানিয়েছিলাম নির্বাচন কমিশনকে।
• ১৯৯৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর তৃণমূলের রেজিস্ট্রেশন হয়েছিল।
• আমিই নির্বাচন কমিশনে তৃণমূল কংগ্রেসের রেজিস্ট্রেশন চেয়ে আবেদন জমা দিয়েছিলাম।
• আমার নামেই তৃণমূলের রেজিস্ট্রেশনের চিঠি এসেছিল।