চাকরিহারাদের বৈঠকের পর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শুক্রবার বিকাশ ভবনে। —নিজস্ব চিত্র।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে শুক্রবার বৈঠক করেন চাকরিহারাদের প্রতিনিধিরা। বিকাশ ভবনে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলেছে। বৈঠকের পর বেরিয়ে ব্রাত্য জানান, চাকরিহারাদের দাবিগুলির সঙ্গে তাঁর মৌলিক কোনও বিরোধ নেই। তবে যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে, তাই আইনি পরামর্শ ছাড়া কিছু করা যাবে না। সেই পরামর্শ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। আইনি পরামর্শ নিয়েই আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। ‘মিরর ইমেজ’প্রকাশেও সরকারের আপত্তি নেই। বিষয়টি নিয়ে বিরোধীদের রাজনীতি না করার অনুরোধ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। চাকরিহারাদের স্কুলে ফিরতে এবং ক্লাস নিতে বলেছেন তিনি। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁদের স্বেচ্ছা পরিষেবা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
ব্রাত্য বলেন, ‘‘চাকরিহারাদের বলেছি, স্কুলের সঙ্গে আপনারা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করবেন না। স্কুলে ফিরুন। ক্লাস নিন। সামাজিক যোগ্যতার মূল্যবান একটা নির্ণয় এর মাধ্যমে হয়।’’
এসএসসি ভবনের সামনে যে তিন জন চাকরিহারা অনশনে বসেছেন, তাঁরা কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত বলে জানালেন ব্রাত্য। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে যাঁরা বৈঠক করতে এসেছিলেন, তাঁরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, তাঁদের কেউ অনশন করছেন না। তাঁদের মধ্যে একটা ছোট অংশ, যাঁরা অনশন করছেন, তাঁরা কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের উপরেও আমার রাগ নেই।’’
শিক্ষামন্ত্রী জানান, যোগ্যদের তালিকা আইনি পরামর্শ নিয়ে আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়া হবে। ‘মিরর ইমেজ’ও আছে। সেটার ক্ষেত্রেও আইনি পরামর্শ লাগবে।
চাকরিহারারা জানিয়েছেন, যত দিন পর্যন্ত সসম্মানে পদ ফিরে পাচ্ছেন, তত দিন রাজপথে থাকবেন। ব্রাত্য বলেন, ‘‘ওঁরা রাজপথে থাকতে চান, আমি সে বিষয়ে সহমত। আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি রাখতে না পারলে ওঁদের পথেই থাকা উচিত। কিন্তু আমার অনুরোধ, আমরা আইনি পরামর্শ নিয়ে চেষ্টা করব। সেই সময়সীমা পর্যন্ত ওঁরা দেখে নিন। ২১ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।’’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘বিরোধীরা চাইছেন এই ২৬ হাজার লোককে বলি দিয়ে ভোটের আগে রাজ্যে একটা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করতে। আমরা বলতে চাই, আপনারা আপনাদের রাজনীতি করুন। আমরা চেষ্টা করছি এই মানুষগুলোকে শেষ মুহূর্তে অক্সিজেন দেওয়ার। সেটা আটকাবেন না।’’
বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে ব্রাত্য বলেন, ‘‘কে চাকরির প্যানেল বাতিল করেছিলেন? সবাইকেই তো উনি দুর্নীতিগ্রস্ত বলেছিলেন। চাকরিহারাদের আমি এখন অভিনন্দন জানাব। কারণ, ওঁরা বুঝতে পেরেছেন, এই সরকার ওঁদের পাশে আছে।’’
ব্রাত্য বলেন, ‘‘যোগ্য ও অযোগ্যের তালিকা প্রকাশ করার দাবি চাকরিপ্রার্থীরা জানিয়েছেন। এসএসসির কাছে এই তথ্য আছে সিবিআইয়ের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে। আদালতেও তা জানানো হয়েছে। ওয়েবসাইটে তা তুলে দেওয়ার দাবি করা হচ্ছে। আমাদের তাতে আপত্তি নেই।’’
বৈঠক শেষে বিকাশ ভবন থেকে ব্রাত্য বলেন, ‘‘যোগ্য বঞ্চিতদের যাতে চাকরি থাকে, সে ব্যাপারে আইনি প্রতিরক্ষা এবং সহযোগিতা দেওয়ার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মোতাবেক আমরা বিকাশ ভবনে বসেছিলাম। চিঠি লিখে ওঁরা এই বৈঠকের জন্য আবেদন করেছিলেন। বেশ কিছু আলোচনা হয়েছে। ওঁরা যা যা বলেছেন, তার সঙ্গে আমাদের মৌলিক বিরোধ নেই। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের সরাসরি নির্দেশ আছে। আইনি সহযোগিতা ছাড়া এখানে কোনও কাজ আমরা করতে পারব না। ওঁদের দাবি ন্যায়সঙ্গত।’’
বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী এবং শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে চাকরিহারাদের প্রতিনিধিদের বৈঠক শেষ হয়েছে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলেছে।
বিকাশ ভবনে ব্রাত্যের সঙ্গে চাকরিহারাদের বৈঠকের দু’ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। বৈঠক হচ্ছে ছ’তলায়। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের একতলায় দাঁড়াতে বলা হয়েছে।
চাকরিহারাদের ১৩ জন প্রতিনিধি বিকাশ ভবনের বৈঠকে রয়েছেন। প্রথমে ১২ জনকে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। পরে আরও এক জন বৈঠকে যোগ দেন।
বিকাশ ভবনের ছ’তলায় চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠক চলছে শিক্ষামন্ত্রীর। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর চাকরি নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, উত্তরপত্রের ‘মিরর ইমেজ’ প্রকাশ করলে সেই জট কাটতে পারে বলে মনে করছেন চাকরিহারারা। সেই সংক্রান্ত আলোচনা হচ্ছে।
চাকরিহারা প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য বিকাশ ভবনের বৈঠকস্থলে পৌঁছোলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য। এসএসসি এবং পর্ষদের কর্তারাও সেখানে রয়েছেন। নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টারও বেশি সময় পরে বৈঠক শুরু হয়েছে।
চাকরিহারাদের দাবি মেনে নিয়ে ১২ জন প্রতিনিধিকেই প্রবেশের অনুমতি দিল বিকাশ ভবন।
১২ জনকে ঢুকতে না-দিলে বৈঠকে যাবেন না বলে জানিয়েছেন চাকরিহারাদের প্রতিনিধিরা। বিকাশ ভবন থেকে আট জনকে প্রবেশের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তাঁরা ভিতরে প্রবেশ করেছেন। কিন্তু বৈঠকস্থলে যেতে চাইছেন না।
চাকরিহারাদের ১০ জন প্রতিনিধিকে বিকাশ ভবনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বাকিরা বাইরে রয়েছেন।
চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের প্রতিনিধিরা বিকাশ ভবনে পৌঁছোলেন। এসএসসি ভবন থেকে চাকরিহারাদের মিছিল বিকাশ ভবনের দিকে এগোচ্ছে।
চাকরিহারাদের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে ১২ জনের নাম স্থির হয়েছে। বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে তাঁরা বৈঠক করতে যাচ্ছেন। এই ১২ জনের মধ্যে নবম-দশমের ছ’জন, একাদশ-দ্বাদশের চার জন এবং গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি-র এক জন করে চাকরিহারা প্রতিনিধি রয়েছেন।
চাকরিহারারা প্রার্থীরা প্রাথমিক ভাবে ১৩ জনের প্রতিনিধি দল তৈরি করেছেন। তাতে নাম আছে হুমায়ুন ফিরোজ মণ্ডল, সঙ্গীতা সাহা, আবদুল্লা মণ্ডল, চিন্ময় মণ্ডল, সুজয় সরদার, প্রলয় কুমার জামাদার, আজহারউদ্দিন, সেলিনা আখতার, স্বপন বিশ্বাস, মেহবুব মণ্ডল, দিথিশ মণ্ডল, মৃন্ময় মণ্ডল এবং তাপস সাঁতরার। তবে বিকাশ ভবনে আট জনকে যেতে বলা হয়েছে।