স্থানীয়দের থেকেই গাইড হবে গজলডোবায়

পর্যটন দফতরের উত্তরবঙ্গের ডেপুটি ডিরেক্টর সম্রাট চক্রবর্তীও প্রকল্পের সঙ্গে বাসিন্দাদের সামিল করার কাজে স্বেচ্ছাসেবীদের স্বাগত জানিয়েছেন।

Advertisement

কিশোর সাহা

গজলডোবা (জলপাইগুড়ি) শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:৩৩
Share:

আশা: গজলডোবা। —ফাইল চিত্র।

গজলডোবায় ট্যুরিজম হাবকে কেন্দ্র করে অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস তৈরির ভাবনা রয়েছে প্রশাসনের। ভাবা হয়েছে তিস্তা ও লাগোয়া ক্যানালে ‘ওয়াটার স্পোর্টস’ চালুর কথাও। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে প্রশিক্ষিত গাইডের। সে কথা মাথায় রেখেই পঞ্চায়েত, স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে ৫০ জন তরুণ-তরুণীকে বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করেছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তারা প্রশাসন-পঞ্চায়েতের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে পরিবেশবান্ধব পর্যটন কেন্দ্র গড়ার কাজে সহযোগিতা করে থাকে। এ ক্ষেত্রেও স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে প্রশিক্ষণ দেবে সংস্থাটি।

Advertisement

পর্যটন দফতরের উত্তরবঙ্গের ডেপুটি ডিরেক্টর সম্রাট চক্রবর্তীও প্রকল্পের সঙ্গে বাসিন্দাদের সামিল করার কাজে স্বেচ্ছাসেবীদের স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘পরিবেশবান্ধব পর্যটন কেন্দ্র গড়ার কাজে স্বেচ্ছাসেবীদের বিরাট ভূমিকা থাকে।’’ ‘ভোরের আলো’ গড়ার ক্ষেত্রেও সকলের সহযোগিতা নিয়ে এগোচ্ছেন বলেই জানান তিনি। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবও স্থানীয়দের মধ্যে থেকেই ওয়াটার স্পোর্টস গাইড, ভিলেজ গাইড, ইকো ট্যুরিজম ভলান্টিয়ার তৈরির উপরে জোর দিচ্ছেন।

এর মধ্যেই পরীক্ষামূলক ভাবে তিস্তায় নৌকো নিয়ে ঘোরাফেরার রুট চিহ্নিত করতে, খরস্রোতা পাহাড়ি এলাকায় র‌্যাফটিং-এর মহড়ায় অংশ নিতে যে সব বাসিন্দা আগ্রহী, তাঁদের সামিল করানো হচ্ছে। পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে পর্যটনের প্রসারের বিষয়েও স্থানীয়দের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সংস্থাটি। খরস্রোতা নদীতে ওয়াটার স্পোর্টসের সঙ্গে যুক্ত মিঠুন বিশ্বাস প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আহ্বায়ক তথা পর্যটন কেন্দ্রীয় গবেষক রাজ বসু বলেন, ‘‘গজলডোবা অত্যন্ত সংবেদনশীল এলাকা। সেখানে নদী, বন, বুনো জন্তু, জলচর প্রাণী, অসংখ্য পাখি রয়েছে। তাই কোন পথে, নদীর কতটা এলাকায় পর্যটকরা কোন সময়ে ঘুরতে পারবেন, সেটা নির্দিষ্ট করা জরুরি।’’ যাঁরা ‘গাইড’ হবেন, তাঁদেরও সব ধরনের প্রশিক্ষণ থাকা দরকার। সেই কাজটা এগিয়ে রাখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

Advertisement

‘ভোরের আলো’ প্রকল্প পুরোদমে চালু হলে যাতে এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠী, মহিলাদের তৈরি কারুশিল্পের একাধিক প্রদর্শনী হল হয়, তা নিয়েও চেষ্টা করছে সংস্থাটি। যার ফলে আশায় বুক বাঁধছে নবীন মণ্ডল, সাবিত্রী দাসের মতো অনেকেই। ‘গাইড’ হিসেবে প্রশিক্ষণ নিতেও আগ্রহ বাড়ছে এলাকায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন