Coronaviruus

মেট্রোর মতো আসন ফাঁকা রেখে লোকাল চালুর প্রস্তুতি, চলছে স্যানিটাইজেশন

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২০ ২০:১৮
Share:

বুধবারের প্রস্তুতি। চলছে লোকাল ট্রেন স্যানিটাইজেশন। —নিজস্ব চিত্র

বুধবার থেকে লোকাল ট্রেন চালাতে জোর প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন রেল কর্তৃপক্ষ। হাওড়া ও শিয়ালদহের কারশেডে স্যানিটাইজ করা হচ্ছে লোকাল ট্রেনের কামরাগুলি। রেল সূত্রে খবর, প্রস্তুত রাখা হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ ট্রেন। রবিবার পর্যন্ত যাত্রীদের জন্য গাইডলাইন এখনও সে ভাবে কিছু জানায়নি রেল। তবে এ দিন শুধু একটি আসন ফাঁকা রেখে বসার আর্জি জানানো হয়েছে যাত্রীদের।

Advertisement

রেল কর্তৃপক্ষ, রাজ্য প্রশাসন-সহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের কয়েক দফা বৈঠকের পর লোকাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয় বৃহস্পতিবারের বৈঠকে। ঠিক হয়, বুধবার থেকে রাজ্যে করোনাকালের আগের তুলনায় ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ লোকাল ট্রেন হাওড়া, শিয়ালদহ ও খড়গপুর শাখায় চালানো হবে। সেই অনুযায়ী এ বার মাঠে নামার প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন রেল কর্তৃপক্ষ।

ট্রেন চালু হলেও স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিওর বা এসওপি কী হবে, সে বিষয়ে এখনও রেল কর্তৃপক্ষ বিশেষ কিছু জানাননি। সূত্রের খবর, রাজ্য ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে টিকিট যে কাউন্টার থেকেই মিলবে, সে বিষয়ে আগেই জানিয়েছিল রেল। রবিবার তার সঙ্গে জানানো হল, মেট্রোর মতোই একটি আসন ছেড়ে বসতে হবে যাত্রীদের। তার জন্য ট্রেনের নির্দিষ্ট আসনগুলিতে ‘ক্রস’ চিহ্ন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া যাত্রীদের মাস্ক পরা, সঙ্গে স্যানিটাইজার রাখার মতো পরামর্শ দিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

আরও পড়ুন: ট্রাম্প-ভোটবাক্সে কোভিড ‘সংক্রমণ’! নীতীশেরও কি একই পরিণতি?

ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত হওয়ার পর থেকেই শিয়ালদহ ও হাওড়া স্টেশনের কারশেডে যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি। ট্রেনের ভিতরে বাইরে জীবানুনাশক স্প্রে করার কাজ চালাচ্ছেন রেল কর্মীরা। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ট্রেনের পাশাপাশি স্টেশন, প্ল্যাটফর্ম, ঢোকা-বেরনোর পথ, টয়লেট, পানীয় জলের মেশিন ও তার আশপাশের এলাকা-সহ কার্যত গোটা স্টেশনকেই স্যানিটাইজ করা হবে।

আরও পড়ুন: ভুবনেশ্বরের জেলে মারা গেলেন আইকোর কর্তা অনুকূল মাইতি

কিন্তু মূল প্রশ্ন, ভিড় নিয়ন্ত্রণ তথা দূরত্ব বজায় রেখে ট্রেন চালানো কি সম্ভব হবে? শিয়ালদহের বিভিন্ন লাইনে লোকাল ট্রেনগুলিতে কোভিডের আগে যা ভিড় হত, সেই রকম হলে পরিস্থিতি কার্যত হাতের বাইরে চলে যাবে বলেই মনে করছেন রেল কর্তৃপক্ষ। আবার একটি ট্রেনে সর্বাধিক কত যাত্রী নেওয়ার সীমা নির্ধারণ করলেও যাত্রীরা তা মানবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এ ছাড়া ট্রেন চলবে অর্ধেকেরও কম। ফলে দু’টি ট্রেনের মাঝের সময়ও দ্বিগুণের বেশি হবে। তাতে ভিড়় আরও বেশি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ভিড় নিয়ন্ত্রণে রেখে লোকাল ট্রেন চালানোই এখন রেলের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

আবার লোকাল ট্রেন চালু হলে মেট্রোতেও ভিড় বাড়ার আশঙ্কা। কারণ শহরতলির ট্রেনগুলিতে এসে দমদম ও নিউ গড়িয়ায় নেমে বহু মানুষ মেট্রোয় কলকাতা শহরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। সেই বিপুল ভিড়ের চাপ পড়লে মেট্রোতেও সামাজিক দূরত্ব মানা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে। ফলে লোকাল ট্রেন চালু হওয়ার পর মেট্রো কর্তৃপক্ষকেও নতু করে ভাবনাচিন্তা করতে হতে পারে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন