ইট দিয়ে রাস্তার উপর সুরক্ষা রেখা এঁকে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। -নিজস্ব চিত্র।
সব জায়গায় যেন খুচরো বাজার খোলা থাকে। তা নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার রাজ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার পোস্তায় পরিদর্শনে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন পোস্তা বাজারে গিয়ে তিনি সেখানকার ব্যাবসায়ীদের একাংশের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার অনুজ শর্মা এবং অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ডিপি সিংহ।
বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে বৈঠকের পর জোর দিয়েছিলেন অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহের উপর। লকডাউনের জন্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পেতে যাতে অসুবিধা না হয় তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। এ দিন দুপুরে তিনি সোজা পোস্তা বাজারে যান মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার হিসাবে গণ্য করা হয় পোস্তাকে। সেখানে তিনি নির্দেশ দেন যাতে কোনও ভাবে এই পাইকারি বাজার বন্ধ না থাকে। শুক্রবার ভোরবেলা থেকেই যাতে ওই বাজার স্বাভাবিক ভাবে কাজ করে তা দেখার নির্দেশ দেন তিনি। ডিপি সিংহকে তিনি জরুরি পণ্য সরবরাহের নোডাল অফিসার নিযুক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন পুলিশ কর্তাদের নির্দেশ দেন, পুলিশের উপস্থিতিতে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা এবং দূরত্ব মেনে যাতে পণ্য বেচা-কেনা শুরু করা হয়। কারণ ওই বাজারের উপর রাজ্যের সমস্ত বাজার নির্ভরশীল। পোস্তা বাজার চালু থাকলে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পণ্য পরিসেবা বিঘ্নিত হবে না। তিনি এ দিন বার বার জোর দেন যাতে খুচরো বাজার খোলা থাকে এবং সাধারণ মানুষ চাল-ডাল-তেলের মতো সামগ্রীর অভাব বোধ না করেন।
আরও পড়ুন: ভারত তাড়াতাড়িই করোনা-যুদ্ধে জয়ী হবে, বার্তা দিল চিন
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটির প্যাকেজ কেন্দ্রের
পোস্তা থেকে মুখ্যমন্ত্রী চলে যান জানবাজারে। সেখানেও রয়েছে পাইকারি বাজার। সেখানকার বাজারও যাতে চালু থাকে তা দেখার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন তিনি। এর মধ্যেই রাস্তায় ইটের টুকরো দিয়ে তিনি নিজেই গোল করে ‘সুরক্ষারেখা’ এঁকে দেখিয়ে দেন, কী ভাবে একটা নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে কেনা-বেচা চলবে। পুলিশকে তিনি নির্দেশ দেন, এ ভাবেই সতর্কতা বজায় রেখে বাজার খোলা রাখা নিশ্চিত করতে।