অবাধে বোমা-লাঠি-ইটবৃষ্টি, নদিয়ায় আহত এক দম্পতি

তৃণমূলের হামলায় বিজেপির  তিন কর্মী আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে কৃষ্ণনগরের সমরপল্লিতেও। তাঁদেরও শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০১:৪২
Share:

বোমায় জখম ভোটার ভারতী বিশ্বাস। সোমবার হাঁসখালিতে। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য

ভোট দিয়ে ফেরার পথে বোমায় গুরুতর জখম হলেন এক দম্পতি। সোমবার বিকেলে হাঁসখালির ছোট মুড়াগাছায় বুথ থেকে কিছুটা দূরে রাস্তায় ওই বোমাবাজি হয়। পরে আধা সেনা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। বোমায় আহত সুখেন বিশ্বাস বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর স্ত্রী ভারতী বিশ্বাসকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে আনা হয়েছে।

Advertisement

তৃণমূলের হামলায় বিজেপির তিন কর্মী আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে কৃষ্ণনগরের সমরপল্লিতেও। তাঁদেরও শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সন্ধ্যায় ভোটপর্ব মিটে যেতে যখন তাঁরা বাড়ি ফিরছেন, সেই সময়ে তৃণমূলের লোকজন তাঁদের রড ও লাঠি দিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ। তার প্রতিবাদে বিজেপি রাতে এলাকায় পথ অবরোধ করে। নাকাশিপাড়াতেও এজেন্ট বসানো নিয়ে ঝামেলার জেরে ইটে জখম হয়েছেন তিন বিজেপি কর্মী। সকালে শান্তিপুরে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে বুথ থেকে প্রায় দু’শো মিটার দূরে একটি বোমা পাওয়া গিয়েছিল। তবে কে তা রেখে গিয়েছে, তা জানা যায়নি। চাকদহে বিজেপি এজেন্টের গায়ে ‘বিষাক্ত’ পাউডার ছোড়ার অভিযোগও উঠেছে।

বিজেপির অভিযোগ, হাঁসখালিতে তৃণমূলের লোকজন নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছিল। বিকেলে তৃণমূলের লোকজন বুথ থেকে খানিক দূরে রাস্তায় জড়ো হয়। বিজেপির লোকেরা তাদের বাধা দিলে গোলমাল বাধে। সেই সময়েই বোমা ছোড়া হয়। তখন সবে ভোট দিয়ে বেরিয়েছেন বিশ্বাস দম্পতি। তাঁরা গুরুতর জখম হন।

Advertisement

নাকাশিপাড়া ব্লকে আগে থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলছিল বিজেপি। তাদের অভিযোগ, এ দিন বিক্রমপুর পঞ্চায়েতের ১৬২ নম্বর বুথে সকাল থেকেই বিজেপির এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। দুপুর ১২টা নাগাদ দলের ব্লক আহ্বায়ক শান্তনু দে কয়েক জন কর্মীকে নিয়ে বুথে গেলে তৃণমূলের ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী তাদের বাধা দেন। গোলমাল বেধে যায়। শুরু হয় ইটবৃষ্টি। তাতে বিজেপির দু’টি গাড়ির কাচ ভাঙে। ইটের ঘায়ে জখম হন তিন বিজেপি কর্মী। খবর পেয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা গিয়ে লাঠি চালিয়ে দু’দল হটিয়ে দেন। তৃণমূল অবশ্য হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা ওসমান শেখের দাবি, ‘‘বিজেপিই বরং বাইরে থেকে দুষ্কৃতী এনে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের উপরে চড়াও হয়।’’ তবে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়নি।

চাকদহে আবার বাপুজি বালিকা বিদ্যাপীঠের ৮৪ নম্বর বুথের বিজেপি এজেন্ট দীপক পোদ্দারের অভিযোগ, বুথ ছাড়তে রাজি না হওয়ায় দুপুর ১টা নাগাদ তৃণমূলের তাঁর গায়ে ‘বিষাক্ত’ পাউডার ছিটিয়ে দেয়। গা চুলকোতে থাকায় তাঁকে চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

তবে জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি শঙ্কর সিংহ অবশ্য দাবি করেন, “পাউডার ছোড়ার ঘটনা আমার জানা নেই।’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্তের দাবি, ‘‘জেলায় কোথাও গোলমাল হয়েছে বলে আমার জানা নেই। বিজেপি যতই আধা সেনাকে সঙ্গে নিয়ে পরিকল্পনা করুক,

আমরাই জিতব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন