প্রার্থী নয়, নোটার জন্য আস্ত মেশিন

প্রার্থীদের নাম যখন যন্ত্রভুক্ত হয়েই যাবে, তবে আর একটি যন্ত্রের কী প্রয়োজন?

Advertisement

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ

শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৯ ০২:৫৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রার্থীদের জন্য একটা আস্ত ইভিএম! কিন্তু সেই যন্ত্রে জায়গা হচ্ছে না ‘নান অব দ্য অ্যাভব’ (নোটা)-র বোতামের। তার জন্য দরকার আর একটি আস্ত ইভিএম। এমনই ঘটনা ঘটতে চলেছে দার্জিলিং লোকসভায়!

Advertisement

আগামী ১৮ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় জলপাইগুড়ি, রায়গঞ্জের সঙ্গে ভোট হবে দার্জিলিঙে। শুক্রবার ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। আর সে সব শেষে দেখা যাচ্ছে, দার্জিলিঙের ১৬ জন প্রার্থীর মনোননয়ন বৈধ হয়েছে। ফলে তাঁদের নাম তো রাখতেই হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। আর তাতেই যাবে একটি যন্ত্র। প্রথম ও দ্বিতীয় দফার ভোটে দার্জিলিং বাদ দিয়ে বাকি চারটি কেন্দ্রে প্রার্থীর সংখ্যা ১৬ ছুঁয়ে ফেলেনি।

প্রার্থীদের নাম যখন যন্ত্রভুক্ত হয়েই যাবে, তবে আর একটি যন্ত্রের কী প্রয়োজন? কারণ, ইভিএমের একটি ব্যালট ইউনিটে (বিইউ) ১৬ জনের নাম সর্বোচ্চ অর্ন্তভুক্ত হতে পারে। কিন্তু প্রার্থীদের নামের শেষে থাকে নোটার বোতাম। যা দার্জিলিংয়ে একটি যন্ত্রে অর্ন্তভুক্ত থাকতে পারবে না। সে কারণে নোটার জন্য আর একটি যন্ত্র বরাদ্দ করতে হবে কমিশনকে। আর তাই হতে চলেছে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে। ইভিএমের দুটি অংশ একটি বিইউ এবং অন্যটি কন্ট্রোল ইউনিট (সিইউ)।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই রয়েছে ইভিএম-ভিভিপ্যাটের ‘ওয়্যারহাউস’। আর কেন্দ্রীয় ভাবে তা রয়েছে মালদহ, মেদিনীপুর এবং বর্ধমানে। আর একসঙ্গে বেশি সংখ্যক ইভিএমের প্রয়োজন পড়লে কেন্দ্রীয় ওয়্যারহাউস থেকে সুনির্দিষ্ট স্থলে পৌঁছে যায়। দার্জিলিংয়ের ক্ষেত্রে মালদহের ওয়্যারহাউস থেকে অতিরিক্ত প্রায় দু’হাজার ব্যালট ইউনিট যাবে বলেই সূত্রের খবর। কারণ, দার্জিলিংয়ে ১৮৯৯টি বুথ রয়েছে।

দার্জিলিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ইভিএম এবং ভিভিপ্যাটের ফার্স্ট লেভেল অব চেকিং (এফএলসি), প্রথম দফায় বাছাই প্রক্রিয়া (র‌্যানডামাইজেশন), দ্বিতীয় দফায় বাছাই প্রক্রিয়াও শেষ হয়েছিল। কিন্তু অতিরিক্ত প্রায় দু’হাজার ইভিএমের ব্যালট ইউনিটের যাবতীয় এই

প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। ফলে তৎপরতা আরও বাড়িয়েছে জেলা প্রশাসন এবং রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও) দফতর। এখনও পর্যন্ত প্রথম দুই দফায় নির্বাচন হওয়া পাঁচ কেন্দ্রের মধ্যে দার্জিলিংয়ের

জন্যই লাগবে দুটি যন্ত্র। সাধারণত, ভিভিপ্যাট ইভিএমের বামে থাকে। দার্জিলিংয়ের ক্ষেত্রে তা দুটি ব্যালট ইউনিটের মাঝে থাকতে পারে বলে খবর। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে মালদহ উত্তর, ডায়মন্ড হারবার-সহ তিনটি কেন্দ্রে প্রার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে অতিরিক্ত ইভিএম ব্যবহার করতে হয়েছিল।

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের সব বুথেই ‘এম-থ্রি’ ইভিএম ব্যবহার হবে। সেখানে সর্বোচ্চ ৩৮৪ জনের ব্যালট থাকতে পারে। ‘এম-টু’ মেশিনে সর্বোচ্চ ৬৪ জনের নাম নথিভুক্ত থাকতে পারত। ফলে তার বেশি প্রার্থী হলে ব্যালট পেপারেই ভোট করাতে হয় কমিশনকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement