অভিষেকের সমর্থনে মিছিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার। ছবি: সুমন বল্লভ
ডায়মন্ড হারবারে প্রচারে গিয়ে দলীয় প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। সোমবার বজবজের সভায় অভিষেক সম্পর্কে মমতা বলেন, ‘‘আমি অভিষেককে বলেছিলাম, এ বার তুই লোকসভায় দাঁড়াস না। লোকসভাটা তুই ছেড়ে দে। তোকে পরে রাজ্যসভা থেকে সাংসদ করে দেব। ওটা আমার হাতেই আছে।’’
তাঁর এই প্রস্তাব নাকচ করে অভিষেক ডায়মন্ড হারবার থেকেই লড়তে চান বলে মমতা সভায় জানান। তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘‘বুঝতে পারলাম, ডায়মন্ড হারবারকে ও সত্যিই ভালবাসে।’’ কিন্তু বিরোধীরা মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের মোড়কে অন্য ‘প্রেক্ষিত’ রয়েছে বলে মনে করছেন। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর অভিমত, ‘‘ডায়মন্ড হারবারের জন্য অভিষেক যে অযোগ্য, তা মুখ্যমন্ত্রী বুঝতে পেরেছেন, এটা এই মন্তব্যে স্পষ্ট। স্বচ্ছ ভাবে ভোট করে অভিষেক জিততে পারবে না, এটা আঁচ করেই মুখ্যমন্ত্রী ওঁকে ওই আসনে দাঁড়াতে নিষেধ করেছিলেন।’’
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী এটা বুঝেই বলেছেন। এলাকায় তো অভিষেকের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ রয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট হলে অভিষেকের তো জেতার কথা নয়। সেই বাস্তব পরিস্থিতি মমতাদি বোঝেন। সে ক্ষেত্রে আগামী দিনে তিনি চাইলে অভিষেককে রাজ্যসভাতে পাঠাতেই পারেন।’’ একই সুরে কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘ভাইপোর আসন নিয়ে পিসির দুশ্চিন্তা রয়েছে বলেই তো ডায়মন্ড হারবার থেকে সরিয়ে রাজ্যসভায় পাঠাতে চেয়েছিলেন।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
তৃণমূল বিরোধীদের বক্তব্যকে সত্যের বিকৃতি বলে পাল্টা অভিযোগ করছে। তৃণমূলের মহাসচিব ও রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘‘ডায়মন্ড হারবারের প্রতি অভিষেকের দায়বদ্ধতা-ভালবাসার কথা বোঝাতেই মমতা কথাটা বলেছেন। অভিষেকের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে মমতার কথার অপব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছে বিরোধীরা। তারা হালে পানি পাবে না। দলের তারকা প্রচারক হওয়া সত্ত্বেও অভিষেক প্রথম থেকেই ডায়মন্ড হারবার থেকে লড়তে চেয়েছিল।’’