উচ্ছ্বাস: মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছেন ডালু ও ইশা। —নিজস্ব চিত্র।
মাজারে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি মন্দিরে গিয়ে দিতেন পুজো। এমনই ভাবে মনোনয়নপত্র জমা দিতেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা বরকত গনি খান চৌধুরী। মঙ্গলবার বরকতের কায়দাতেই মনোনয়নপত্র জমা দিলেন তাঁর ভাই আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু) এবং ইশা খান চৌধুরী।
কংগ্রেসের টিকিটে মালদহের দুই কেন্দ্র থেকে এ বারে লড়াই করছেন ডালু ও ইশা। দলীয় বিধায়ক, কর্মী এবং সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করে এ দিন মনোনয়নপত্র জমা দিলেন তাঁরা। কোতোয়ালি ঘনিষ্ঠ প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কালীসাধন রায় বলেন, ‘‘পিরানাপিরের মাজারে শ্রদ্ধা এবং মনস্কামনা মন্দিরে পুজো দিয়ে বরাবর মনোনয়নপত্র জমা দিতেন বরকতদা। তিনি ধর্মের ভেদাভেদ করতেন না। সকল ধর্মের উৎসবে সামিল হতেন তিনি।’’
এ দিন সকাল দশটা। কোতুয়ালি ভবনে হাজির দলীয় কর্মী, সমর্থকেরা। সকাল সওয়া দশটা নাগাদ কোতুয়ালি ভবন থেকে বের হন ডালু এবং ইশা। ভবনের সামনেই বরকতের মাজার। সেই মাজারে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান তাঁর পরিবারেরই দুই কংগ্রেস প্রার্থী। এরপরেই কোতোয়ালি থেকে সোজা হাজির ইংরেজবাজার শহরের সুকান্ত মোড়ের মনস্কামনা মন্দিরে। ওই মন্দিরে পুজো দেন ডালু ও ইশা। কপালে সিঁদুরের তিলক কেটে দলীয় কর্মী, সমর্থকদের নিয়ে হাজির হন মালদহ টাউন হলে। সেখান থেকে শুরু হয় মিছিল। মিছিল করে বাঁধ রোড হয়ে নেতাজি মোড় দিয়ে ফোয়ারা মোড় ঘুরে ফের হাজির হন টাউন হলে। দলীয় পাঁচ বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন এই দুই প্রার্থী।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সমর্থকদের উচ্ছ্বাস দেখে আপ্লুত ডালু বাবু। তিনি বলেন, “তিন বছর ধরে আমি দক্ষিণ মালদহের সাংসদ রয়েছি। এ ছাড়া আমার দাদা (বরকত) ১৯৮০ সাল থেকে ওই কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন।”
লোকসভায় ইশার লড়াই এ বারই প্রথম। তিনি বলেন, “জ্যেঠু (বরকত) মাজার এবং মন্দিরে পুজো দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যেতেন। সেই পরম্পরা বজায় রেখেছি।’’
তবে তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “গনিখানের নামে কাজ না করে ভোট বৈতরনী পার হন ডালু বাবুরা। এবারে মানুষ তাঁকে জবাব দেবেন।”