চার দশক পর দার্জিলিঙে নির্দল মহিলা প্রার্থী

প্রায় চার দশক পর আবার দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী হচ্ছেন কোনও মহিলা। রিসিকা ছেত্রী নামে পাহাড়ের ওই প্রার্থী গোর্খা ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্টের সদস্য হলেও নির্দল প্রার্থী হিসেবেই লড়ছেন

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৯ ০৪:৫৪
Share:

প্রায় চার দশক পর আবার দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী হচ্ছেন কোনও মহিলা। রিসিকা ছেত্রী নামে পাহাড়ের ওই প্রার্থী গোর্খা ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্টের সদস্য হলেও নির্দল প্রার্থী হিসেবেই লড়ছেন। ১৯৬৭-৭১ পর্যন্ত নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে জিতে দার্জিলিঙের সাংসদ হয়েছিলেন মৈত্রেয়ী বসু। তবে রিসিকা খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারবেন না বলেই দাবি করছে পাহাড়ের দলগুলি। আলাদা রাজ্যের দাবিকে সামনে রেখে ভোটে লড়ছেন রিসিকা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে একটি সাংবাদিক বৈঠকে রিসিকা জানিয়েছেন, আজ, শুক্রবার থেকেই পাহাড়ে প্রচার শুরু করছেন। তবে রিসিকার প্রার্থীপদ দার্জিলিং আসনে খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারবে না বলেই মনে করছেন জন আন্দোলন পার্টির নেতা হরকাবাহাদুর ছেত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘তাঁর পরিচিতি কতটা? দলে কাজ করার অভিজ্ঞতা কতটা? বিমল গুরুংয়ের হয়ে এক সময় লড়েছিলেন বলেই কী তাঁকে মানুষ ভোট দেবে? আর জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘ওঁনাকে চিনি না। গণতন্ত্রে যে কেউ ভোটে দাঁড়াতেই পারে। ভোটে একাধিক নির্দল প্রার্থীরা থাকেন, এটা নিয়ে ভাবার কিছু নেই।’’ গত ২০১৭ সালের পাহাড় আন্দোলনের পর দার্জিলিঙে সংগঠনের কাজে নেমেছিলেন রিসিকা। আইনজীবী হওয়ার সুবাদে বিভিন্ন মামলা নিয়েও সরব হয়েছিলেন। নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামাজিক কর্মী হিসেবেও দিল্লিতে কিছুদিন কাজ করছেন। রিসিকার দাবি, পাহাড়ের মানুষের আত্মপরিচয় নিয়ে কথা বলছে সব দলই। কিন্তু রাজ্যের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে না। দিনের পর দিন পাহাড়ে পঞ্চায়েত ভোট হচ্ছে না। চা বাগানের শ্রমিকদের অধিকার এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। রিসিকা এদিন ভোটের ইস্তেহারও প্রকাশ করেন। সেখানে বেশিরভাগ দাবিই পাহাড়ের। সমতলের বিষয় খুব কম। রিসিকার দাবি, ইস্তেহারে কামতাপুরি, রাজবংশী ভাষাকেও সংবিধানের অষ্টম তফশিলে জায়গা দেওয়ার দাবিও তুলেছেন।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

Advertisement

জাতীয় দল কংগ্রেস ছেড়ে পাহাড়ে মৈত্রেয়ী বসু নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়েছিলেন ১৯৬৭ সালে। ১৯৬৭-৭১ পর্যন্ত তিনি দার্জিলিঙের সাংসদ ছিলেন। সেই লড়াইকে সামনে রেখে নির্দল প্রার্থী হিসেবে নিজেকে মেলে ধরতে চান বলে জানিয়েছেন রিসিকা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement