নিশীথে মন ভাল নেই অনেকেরই

কোচবিহারে জেলা পার্টি অফিসের  সামনে দাঁড়িয়েই এক যুব নেতা বললেন, “প্রচারে বেরিয়েছি ঠিকই, কিন্তু মন ভাল নেই। প্রার্থী মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৯ ১০:৪৭
Share:

পথে: কোচবিহারের ভেটাগুড়িতে রোড-শো তে বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। বুধবার। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব

বিজেপির প্রার্থী তালিকায় কোচবিহারে নিশীথ প্রামাণিকের নাম দেখেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন দলেরই একদল কর্মী। ফেস্টুন হাতে নিশীথকে ‘স্মাগলার’ দাবি করে প্রার্থী বদলের দাবি তোলেন তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি কর্মীদের একটি অংশ প্রকাশ্যেই জানাতে শুরু করেন, ভোট এবার পড়বে ‘নোটা’তে। এই অবস্থায় কড়া অবস্থানের কথা জানায় বিজেপি’র রাজ্য নেতৃত্ব, প্রকাশ্যে কেউ প্রার্থী নিয়ে বিরোধিতা করলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে তাঁর বিরুদ্ধে। তার পরে প্রকাশ্যে বিক্ষোভ থামলেও, ভিতরে ভিতরে সেই ক্ষোভ রয়েছে বলেই দল সূত্রে খবর।

Advertisement

বুধবার কোচবিহারে জেলা পার্টি অফিসের সামনে দাঁড়িয়েই এক যুব নেতা বললেন, “প্রচারে বেরিয়েছি ঠিকই, কিন্তু মন ভাল নেই। প্রার্থী মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে।” একই অবস্থা নিশীথের বাড়ির এলাকা ভেটাগুড়িতেও। ওই এলাকার এক পুরনো বিজেপি কর্মী বলেন, “নিশীথ কয়েকদিন আগেও তৃণমূল করতেন। তাঁর বিরুদ্ধে আমরা সরব হয়েছি। এখন তাঁকে মেনে নেওয়া কঠিন ব্যাপার।” নিশীথ অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘গোড়ার দিকে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। এখন সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রচারে নেমেছেন।’’

গত লোকসভা উপনির্বাচনে কোচবিহারে বামেদের পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে বিজেপি। সেই সময় দলের প্রার্থী ছিলেন এক সময়ের জেলা সভাপতি হেমচন্দ্র বর্মণ। এ বারের জন্য যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি করেন তাঁরা চাইছিলেন, পুরনো কর্মীদের মধ্যে থেকেই প্রার্থী করা হোক। উঠে এসেছিল প্রবীণ নেতা হেমচন্দ্র থেকে নবীন নেতা দীপক রায়ের নামে। অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, দীপককে প্রার্থী করা হবে। দলের আরেকটি অংশের দাবি ছিল, তৃণমূলের ভোট কাটতে সেই দল থেকেই বিজেপিতে যোগ দেওয়া কাউকে প্রার্থী করা হোক। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক অশোক মণ্ডল এবং যুব তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত হয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিশীথ প্রামাণিকের নাম ওঠে আসে। শেষ পর্যন্ত নিশীথই প্রার্থী হওয়ায় ক্ষোভে দীপক রায়কে জেলা বিজেপির সমর্থিত নির্দল প্রার্থী করার সিদ্ধান্তও হয় বলে দল সূত্রে খবর। পরে কেন্দ্র ও রাজ্যের চাপে সেই সিদ্ধান্ত বদল হয়।

Advertisement

জেলা নেতাদের অনেকেই জানান, ক্ষুব্ধ কর্মীদের বোঝানোর চেষ্টা চলছে। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা অবশ্য বলেন, “দলে কোনও ক্ষোভ নেই। প্রথম দিনের বিক্ষোভে তৃণমূলের হাত রয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন