অনুব্রতের কাছে খেয়ে এসেই ‘মুখ মুছলেন’ অনুপম

অনুপমের বক্তব্য, অনুব্রত সেই সময় দলের কার্যালয়ে থাকায় তিনি সেখানে যেতে বাধ্য হন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৯ ০২:৫৩
Share:

ছবি: পিটিআই।

তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা দাবি করলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তৃণমূলের যে ৪০ জন বিধায়ক যোগাযোগ রাখছেন, তাঁদের মধ্যে ৭ জন তাঁরই ‘অবদান’। সেই সঙ্গেই তাঁর সংযোজন, অনুব্রত যে তাঁর কানে কানে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেননি, তারও কোনও নিশ্চয়তা নেই।

Advertisement

লোকসভা ভোটের চতুর্থ পর্বে সোমবার বোলপুরে ভোট দেওয়ার পর তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে গিয়ে অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করেন অনুপম। মধ্যাহ্নভোজও সারেন সেখানে। সেই সময় অনুব্রত বলেন, অনুপম তৃণমূলে ফিরে গেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করে তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করে দেবেন তিনি। তবে মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য দফতরে সাংবাদিক সম্মেলনে অনুপম দাবি করেন, ‘‘বোলপুরে আমার বাড়ির দুটো বাড়ি পরে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি। তাঁর মা কয়েক দিন আগে মারা গিয়েছেন। তাই প্রতিবেশী হিসাবে দেখা করতে যাওয়া স্বাভাবিক ছিল।’’

অনুপমের বক্তব্য, অনুব্রত সেই সময় দলের কার্যালয়ে থাকায় তিনি সেখানে যেতে বাধ্য হন। তাঁর কথায়, ‘‘মৃত্যু নিয়ে এ রকম রাজনীতি হতে পারে ভাবতেই পারিনি।’’ তাঁর আরও দাবি, তিনি তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে মধ্যাহ্নভোজ সারেননি, ওখানে রোজ কালীপুজো হয়, তারই ভোগ-প্রসাদ খেয়েছিলেন। কিন্তু অনুপম তৃণমূলে ফিরলে তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠানোর ব্যবস্থা করার কথা অনুব্রত বলা সত্ত্বেও তার প্রতিবাদ করেননি অনুপম। এ নিয়ে তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘অনুব্রত মণ্ডল কাউন্সিলরের টিকিটও পাননি। তিনি আমাকে রাজ্যসভায় পাঠাবেন বললে হাসা ছাড়া আর কী করব?’’

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

অনুপমের এ দিনের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে অনুব্রত বলেন, ‘‘অনুপম আজ কী বলেছে, আমি জানি না। ওর সঙ্গে আমার কাল একটা কথা হয়েছে। কিন্তু কী কথা হয়েছে, বলতে পারব না। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল করি। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভালবাসি। এখন অনুপমকে বিজেপির লোকজন চাপ দিয়েছে বলে ও ভুলভাল কথা বলে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে।’’ এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল-বিজেপির বোঝাপড়ার তত্ত্ব ফের সামনে এনে সিপিএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, ‘‘বিজেপি আর তৃণমূল একই মুদ্রার দুটো পিঠ। বোঝাপড়ার এর চেয়ে স্পষ্ট উদাহরণ আর কী হতে পারে?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন