হঠাৎ প্রাক্তন সিপিএম সাংসদের কাছে অর্জুন

ভোটের বাজারে দুই দলের দুই হেভিওয়েট রাজনীতিবিদ যদি একান্তে সময় কাটান, তা হলে এলাকায় গুঞ্জন হওয়ারই কথা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৯ ০৩:১৪
Share:

—ফাইল চিত্র।

তৃণমূল তাঁকে টিকিট দেয়নি। তাই দল বদলে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। লোকসভা ভোটের টিকিটও পেয়েছেন। পদ্মশিবিরের প্রার্থী সেই অর্জুন সিংহ এ বার ব্যারাকপুরেরই প্রাক্তন সাংসদ, সিপিএমের তড়িৎ তোপদারের বাড়িতে গিয়ে নতুন বিতর্কের ইন্ধন জোগালেন।

Advertisement

এক সময়ে রাজনীতির লড়াইয়ে পরস্পরকে আক্রমণ করে বক্তৃতা শুরু করতেন দু’জন। তবে এলাকায় জনশ্রুতি ছিল, পরস্পরের বোঝাপড়া নাকি চমৎকার।

ভোটের বাজারে দুই দলের দুই হেভিওয়েট রাজনীতিবিদ যদি একান্তে সময় কাটান, তা হলে এলাকায় গুঞ্জন হওয়ারই কথা। তাতে অবশ্য বিচলিত নন দু’জনের কেউই। অর্জুন বলেন, ‘‘উনি প্রবীণ নেতা। আশীর্বাদ নিতে গিয়েছিলাম।’’ আর তড়িতের বক্তব্য, ‘‘অনেকে অনেক কথাই বলবেন। ও আমার সঙ্গে শুধুমাত্র দেখা করেছে। এর বাইরে আর কোনও কথারই ভিত্তি নেই।’’ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অর্জুন ব্যারাকপুরের নোনাচন্দনপুকর সংলগ্ন এলাকায় তড়িতের বাড়িতে হাজির হন। আগে থেকে সে কথা তড়িৎ জানতেন কিনা, তা নিয়ে অবশ্য মুখ খোলেননি বিজেপি প্রার্থী। দুই নেতার মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা হয়। অর্জুন-ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল কর্মী জানান, চা খেতে খেতে একান্তে কথা হয়েছে দু’জনের।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

অর্জুন বলেন, ‘‘উনি দীর্ঘদিনের নেতা। আলাদা দলে হলেও আমার বাবার সঙ্গে উনি রাজনীতি করেছেন। দু’জনের সম্পর্কও ভাল ছিল। ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলাম। রাস্তার ধারে ওঁর বাড়ি। তাই একবার ঢুকে পড়লাম।’’ কিন্তু কী কথা হল? অর্জুনের জবাব, ‘‘আশীর্বাদ নিতে গিয়েছিলাম, উনি আশীর্বাদ করেছেন।’’

রাজনীতির ময়দানে পোড়় খাওয়া নেতা তড়িৎ সহজাত ভঙ্গিতেই বলেন, ‘‘সব কিছুরই কি আলাদা মানে থাকতে হবে? এর মধ্যে অন্য কোনও ব্যাপার নেই। আমি কি এখন বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাতে যাব? যখন মমতার সঙ্গে যখন দেখা হয়েছিল, তখনও এক রকম বলা হচ্ছিল। সবটাই হাস্যকর।’’ ব্যারাকপুরের সিপিএম প্রার্থী গার্গী চট্টোপাধ্যায়ের ব্যাখ্যা, ‘‘আমি যত দূর জানি, এটা নেহাতই সৌজন্য সাক্ষাৎ। এর বাইরে আর কিছু নেই।’’ শুধুই কী সৌজন্য আর আশীর্বাদ, নাকি অন্য কিছু, প্রশ্নটা তবু ঘুরপাক খাচ্ছেই? এর আগে ভোটে দাঁড়িয়ে এমন কারও আশীর্বাদ তো নিতে দেখা যায়নি অর্জুনকে।

অর্জুনের প্রতিক্রিয়া, ‘‘সেটাই তো ট্রেড সিক্রেট!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন