ভোট-নিজস্বী: প্রচারের ফাঁকে অনুগামীদের পাশে শতাব্দী রায়। বৃহস্পতিবার মহম্মদবাজারে। নিজস্ব চিত্র
হাতের নাগালে তিন বারের সাংসদ। এ বারের ভোটে বীরভূম কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীও। রোড-শোর ফাঁকে তা-ই ফের শতাব্দী রায়ের কাছে স্থানীয় কয়েকটি দাবি নিয়ে হাজির হলেন এলাকাবাসী। জানালেন তাঁদের এলাকায় বেহাল পানীয় জল সরবরাহ, রাস্তার কথা। বৃহস্পতিবার গণপুরের ডামড়ায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের এলাকার এক নেতাকে বিষয়টি দেখতে বলেন শতাব্দী। একইসঙ্গে আবেদন নিয়ে হাজির হওয়া এলাকার বাসিন্দাদের তিনি জানান, এখন ভোটের সময়। আচরণবিধির মধ্যে এ ভাবে দাবিপূরণ করা যায় না। ভোটে জিতলে সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দেন তিনি। বুধবারও একই ভাবে মহম্মদবাজারে এক বৃদ্ধা সরকারি প্রকল্পে ঘর তৈরির আর্জি জানিয়েছিলেন শতাব্দীকে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
চোখে রোদ চশমা আর পরনে কমলা শাড়ি। সাংসদ প্রার্থী আদিবাসী নাচে পা মেলাচ্ছেন ঠা-ঠা রোদে। বৃহস্পতিবার মুরারইয়ের ডুমুরগ্রামে আদিবাসীদের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে নাচতেও দেখা গেল বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়কে।
এ দিন সকাল থেকেই প্রচার শুরু করেন শতাব্দী। সকাল দশটা নাগাদ মুরারই থানার ঝাড়খন্ড সীমান্তবর্তী গ্রাম কনকপুরে প্রথম সভা করেন। পরে ডুমুড়গ্রামে আদিবাসী নাচের যোগ দেন। এলাকার মহিলা ও পড়ুয়াদের সঙ্গে ছবি ও সেলফি তোলেন। সভায় মহিলাদের ভিড় দেখে শতাব্দী রায় বলেন, ‘‘আপনাদের বাড়িতে রান্না হয়নি! রান্না না করে আমাকে দেখতে এসেছেন? ভোটের দিন সকাল সকাল আমাকে ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরে রান্না করবেন।” মুরারই নতুন বাজারেও একটি সভা করেন তিনি। এই সভায় শতাব্দী বলেন, ‘‘গ্রামে গ্রামে পথবাতি বসানো হয়েছে, এর ফলে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। আপনাদের এলাকায় পার্ক তৈরি করেছি। স্কুলে বিশুদ্ধ পানীয় জলের যন্ত্র বসিয়েছি। প্রতিবন্ধীদের জন্য আপনাদের ব্লকে প্রতিবন্ধী সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। আরও অনেক কাজ করেছি যা বললে শেষ হবে না। এলাকার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আমায় ভোট দিয়ে জয়ী করুন।” সভাগুলিতে উপস্থিত ছিলেন, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শাহনাজ বেগম, ব্লক সভাপতি বিনয় ঘোষ, পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি বিপ্লব শর্মা ও অন্য নেতা নেত্রীরা।
এ দিন ছোট ছোট পথ সভা করায় পথ চলতি মানুষের ভিড় জমে যায়। এর ফলে সাময়িক যানজটও হয়। যদিও শতাব্দীকে দেখতে উৎসাহী লোকজনের দাবি, ‘‘এখন ভোট উৎসব চলছে। উৎসবে ভিড়, যানজট অস্বাভাবিক নয়।’’ দুপুর হয়ে যাওয়ায় ভাদিস্বর ও ঘুসকিরার সভায় মহিলাদের উপস্থিতির হার কিছুটা কম ছিল। দুপুরেই ডুরিয়া ও খানপুরের সভা সেরে মহম্মদবাজারের সভায় যান তৃণমূল প্রার্থী।