—ফাইল চিত্র।
নির্বাচনের ভারপ্রাপ্ত দুই অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিল তৃণমূল। তার একজনকে ইতিমধ্যেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বার রাজ্যের ৭ আইপিএস অফিসারের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগপত্র জমা দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। যদিও ওই অফিসারদের মধ্যে ৫ জনই বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত।
বিজেপির দাবি, ওই অফিসারেরা শাসকদলের হয়ে নির্বাচনে প্রশাসনের উপর প্রভাব খাটাতে পারেন। নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনও কাজেই যাতে তাঁদের রাখা না হয়, সেই আবেদনও রয়েছে চিঠিতে। এ দিন বিজেপির চিঠির প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘‘ওরা বুঝে গিয়েছে যে মানুষের ভোটে জিততে পারবে না, তাই নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।’’
সোমবার রাজধানীতে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব গিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনের দফতরে। ছিলেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, দলের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র মুকতার আব্বাস নকভি, বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদবের মতো নেতারা। ৯ পাতার চিঠিতে তাঁর তুলে এনেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্নার প্রসঙ্গও। তাঁদের দাবি, সেই ধর্নায় রাজ্যের ৯ জন আইএএস এবং আইপিএস অফিসারকে বিভিন্ন সময়ে দেখা গিয়েছে। যা প্রমাণ করে, প্রশাসন তৃণমূলের ‘দলদাস’এ পরিণত হয়েছে। এই বিষয়গুলি মাথায় রেখে রাজ্যের প্রতিটি বুথকে ‘স্পর্শকাতর’ ঘোষণা করার দাবিও জানানো হয়েছে চিঠিতে। লেখা হয়েছে পঞ্চায়েত ভোটে ‘হিংসা’র প্রসঙ্গও।
পার্থবাবুর কটাক্ষ, ‘‘ওরা অফিসারদের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। যাতে তাঁরা ভোটে নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করতে না পারেন। ওদের চিঠির উত্তর মানুষ ভোটে দেবে।’’