তৃণমূলের পার্টি অফিসে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন অনুপম হাজরা। —নিজস্ব চিত্র।
ভোট দেওয়ার পর তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করায় যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরাকে কড়া বার্তা দিলেন দলীয় নেতৃত্ব। ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’-এ দলের তরফ থেকে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়ে সোমবার রাতের মধ্যেই তিনি বোলপুর থেকে যাদবপুরে ফিরেও আসছেন, দলীয় সূত্রে এমনটাই খবর।
যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের এই বিজেপি প্রার্থী সোমবার বোলপুর গিয়েছিলেন ভোট দিতে। সেই ফাঁকেই তিনি এক সময় বীরভূম জেলার তৃণমূল পার্টি অফিসে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করতে যান। একে যদিও তিনি নিতান্তই সৌজন্য সাক্ষাৎ আখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর দল বিষয়টাকে একেবারেই ভাল চোখে নিচ্ছে না। সে কারণেই তাঁকে দ্রুত যাদবপুরে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে।
বিজেপি সূত্রে খবর, যে অনুব্রতের নামে বার বারই একাধিক সন্ত্রাসের অভিযোগ করে আসছে দল, এমন এক জনের সঙ্গে কী ভাবে অনুপম দেখা করতে যেতে পারেন? গোটা ঘটনায় দলের কাছে জবাবদিহি করতে হতে পারে অনুপমকে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
দলের তরফে শঙ্কুদেব পণ্ডা বলেন, ‘‘বিজেপি এবং তৃণমূল যে পরস্পরের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ সেটা অনুপম হাজরার অজানা নয়। বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রতের বিরুদ্ধেই সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসের অভিযোগ। সেটা জানার পরেও এ দিন আচমকা আমাদের প্রার্থী তাঁর বাড়িতে যেতে পারেন কী ভাবে? সৌজন্যের খাতিরেও কী সেটা হওয়া সম্ভব! একে একেবারেই আমরা ভাল চোখে দেখছি না।’’
আরও পড়ুন: ভোট দিয়েই অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করলেন যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনুপম
আজ সংবাদমাধ্যমের সামনে বীরভূম তৃণমূলের পার্টি অফিসে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করাকে সৌজন্য সাক্ষাৎ আখ্যা দিলেও এর পিছনে অন্য সমীকরণ রয়েছে কি না, তা নিয়েও ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বাংলার রাজনৈতিক শিবিরে। কারণ, এক সময় এই অনুব্রতের বিরুদ্ধেই তোপ দেগে তৃণমূল ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন অনুপম।
এ দিনের সাক্ষাতে দু’জনের মধ্যে দীর্ঘ মন কষাকষির লেশমাত্র অবশ্য চোখে পড়েনি। ‘কাকা’ বলে সম্বোধন করে অনুব্রতের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন অনুপম। এবং, অনুপমের মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ করেন অনুব্রত।