বিষ্ণুপুরে প্রার্থী বিজেপির সৌমিত্র

ফেসবুকে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে জানুয়ারিতে তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত হন সৌমিত্র। এরপরেই দিল্লিতে যোগ দেন বিজেপিতে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৯ ০৪:৩৬
Share:

সৌমিত্র খাঁ। ফাইল চিত্র

হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁর জেলায় ঢোকা নিষেধ। সেই সৌমিত্র খাঁকে এ বার বিজেপি বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের জন্য প্রার্থী করায়, কী ভাবে তিনি প্রচারে নামবেন, তা নিয়ে উদ্বেগে তাঁর অনুগামীরা। যেখানে ওই কেন্দ্রের তৃণমূল ও সিপিএম প্রার্থী পুরোদমে প্রচারে নেমে পড়েছেন, সেখানে সৌমিত্র কবে থেকে প্রচারে নামবেন, তা নিশ্চিত ভাবে জানাতে পারেননি খোদ প্রার্থীও। কী বলছেন সৌমিত্র? শুক্রবার তিনি বলেন, “জেলায় ঢোকার অনুমতি চেয়ে সোমবারই কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানাব।”

Advertisement

২০১১ সালে কংগ্রেসের টিকিটে কং-তৃণমূল জোট প্রার্থী হয়ে কোতুলপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটে লড়াই করেন গঙ্গাজলঘাটির দুর্লভপুরের বাসিন্দা সৌমিত্র। ভোটে জয়লাভের পর ২০১২ সালে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। ২০১৪ সালে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেন। যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতির পদও সাময়িক ভাবে পেয়েছিলেন তিনি। বছরখানেক ধরে নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়তে থাকে। ফেসবুকে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে জানুয়ারিতে তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত হন সৌমিত্র। এরপরেই দিল্লিতে যোগ দেন বিজেপিতে।

তারপর থেকে গুঞ্জন শুরু হয়, সৌমিত্রকে বিজেপি প্রার্থী করতে পারে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিজেপি নেতৃত্ব বিষ্ণুপুরের জন্য সৌমিত্রর নাম ঘোষণা করেন। শুক্রবার অবশ্য বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি স্বপন ঘোষ বলেন, “দলীয় ভাবে এখনও আমাদের প্রার্থীর নাম জানানো হয়নি। টিভিতে ঘোষণা শুনেছি। তৃণমূলকে হারাতে জোরকদমে প্রচারে নামতে আমরা প্রস্তুত।”

Advertisement

বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই সৌমিত্রের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়ে প্রতারণা করা, বালি চুরি, অস্ত্র মামলা-সহ একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন থানায়। হাইকোর্টের নির্দেশে গ্রেফতারি এড়ানো গেলেও বিদায়ী সাংসদের নিজের জেলায় ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

ফলে প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হলেও কবে তিনি কবে এলাকায় ঢুকবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন দানা বেঁধেছে বিভিন্ন মহলে। সৌমিত্রের অবশ্য. দাবি, “গত পাঁচ বছরে এলাকার মানুষের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক গড়ে উঠেছে আমার। মানুষের চাহিদা মতো কাজ করেছি। মিথ্যা অভিযোগে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। কিন্তু, আমি নিশ্চিত এ বারও মানুষ আমাকে আশীর্বাদ করবেন।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন