—ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর ‘অতিসক্রিয়তা’ নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলল তৃণমূল। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক ফিরহাদ হাকিম।
শনিবার কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় রুট মার্চ করেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। রবিবারও একই চিত্র দেখা যায় সার্ভে পার্ক, তিলজলা, তপসিয়া, যাদবপুর-গরফা এবং বন্দর এলাকার একাংশে। শনিবারের মতো এ দিনও বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাঁদের। তৃণমূলের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে রাজ্যে ‘অতিসক্রিয়তা’ দেখাচ্ছে বাহিনী। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘বাংলায় ভোটারের চেয়ে ফৌজ বেশি। শুনছি ১২৩ কোম্পানি বাহিনী আসবে। এত ফৌজ তো কাশ্মীরেও আছে কি না সন্দেহ!’’
যদিও সূত্রের খবর, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ১০টি কোম্পানিকে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান এবং কলকাতায় মোতায়েন করা হয়েছে। সূত্রের খবর, রাজ্যে আরও ৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার কথা।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বাহিনীর ‘আচরণ’এর নিন্দা করে এ দিন ফিরহাদ বলেন, ‘‘আধা সামরিক বাহিনীর আচরণ দেখে মনে হচ্ছে তারাই ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। ভয় দেখাচ্ছে। বাহিনীকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে।’’ জবাবে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর মন্তব্য, ‘‘বাহিনী তার কাজ করছে। শাসক দলের নেতারা এত ভয় পাচ্ছেন কেন? নির্বিঘ্নে নির্বাচন হলে কি তাঁদের হেরে যাওয়ার ভয়?’’
তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলা হচ্ছে, ‘‘ওদের নিজেদের প্রার্থী নেই, তাই অন্য দল ভাঙিয়ে প্রার্থী করতে হচ্ছে।’’ এ বিষয়ে ফিরহাদ দলীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে বলেছেন— ‘‘ফোনে বা অন্য কোনও ভাবে কেউ দল ভাঙানোর চেষ্টা করলে সঙ্গে সঙ্গে এফআইআর করতে হবে।’’