জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।
তিনি আসার আগে চিরকাল অবহেলিত ছিল বাংলা। গত আট বছরে বাংলায় পরিবর্তন ঘটিয়েছে তাঁর সরকার, আন্দুলে প্ররসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
৩৪ বছরের বাম সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন তিনি। সেই বামেরা আজ বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বলেও এদিন দাবি করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘৩৪ বছর ধরে বাংলায় কম অত্যাচার করেনি সিপিএম। লড়াই করে তাদের সরিয়েছি। সেই সিপিএমের হার্মাদরা আজ বিজেপির ওস্তাদে পরিণত হয়েছে। আর সিপিএম-এর মতো অত্যাচার করছে বিজেপি। নিজেরা কপ্টারে চেপে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সাত দফায় নির্বাচন করে বাংলার মানুষকে হেনস্থা করছে ওরা।’’
গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে এর আগে বহুবার নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করেছেন মমতা। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশ ও গুজরাতে দাঙ্গা করিয়ে বহু মানুষ খুন করিয়েছে বিজেপি।তৃণমূলের ব্লক সভাপতিদের যে যোগ্যতা রয়েছে, মোদী-শাহ তার ধারে কাছেও আসেন না।’’
আরও পড়ুন: উচ্চারণ নিয়ে মমতাকে ব্যঙ্গ করে টুইটারে ট্রোলড সূর্যকান্ত মিশ্র
মোদীর পতন অনিবার্য। সবাই মিলে বেঁধেছে জোট, মোদীবাবুর নাইকো ভোট। মোদী হটাও, দেশ বাঁচাও, গণতন্ত্র বাঁচাও, স্বাধীনতা বাজাও, সংস্কৃতি বাঁচাও। আগে ছিলেন চাওয়ালা, কেটলি নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন। এখন সঙ্গে জেটলি নিয়ে ঘুরছেন, যিনি ছ’মাস ক্ষমতায় থাকেন, ছ’মাস থাকেন না। এখন আবার হয়ে বসেছেন। বাংলাকে এক পয়সা দেয় না মোদী সরকার। অথচ কর বাবদ এ রাজ্য থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়ে যায়। বাংলাকে অশান্ত করে তোলার চেষ্টা করছে বিজেপি। পাঁচ বছরে রামমন্দির করতে পারেনি। ভোট এলেই শুধু রাম-সীতার নাম জপে বেড়ায়। অচ্ছে দিনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নোটবন্দি করেছে, সাধারণ মানুষের সর্বনাশ করেছে বিজেপি। মিছিলে লোক জড়ো করতে টাকা বিলোচ্ছে বিজেপি. মিছিলে গেলে পাঁছ হাজার টাকা, মোটরবাইক দেবে বলছে।
আরও পড়ুন: ‘বদলার খিদে মেটেনি’, ভারত ও বাংলাদেশে নতুন করে সন্ত্রাসের হুমকি দিল আইএস
বাংলায় শূন্য পাবে বিজেপি। বলছে এনআরসি করবে, আমরা করতেই দেব না। ওদের মগজে মরুভূমি। ইতিহাসও পাল্টে দিচ্ছে আজকাল। বিজেপির কোনও নীতি নেই, আদর্শ নেই। খরা, বন্যার সময় টিকি দেখা যায় না বিজেপির, এখন ভোটের সময় বাংলায় ছুটে এসেছে। উত্তরপ্রদেশে খুন করে বেড়াচ্ছে বিজেপি, তা সত্ত্বেও কোনও বিচার হয় না। বিজেপির আমলে ১২ হাজার কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। তিন কোটি মানুষের চাকরি গিয়েছে। বিজেপি এখন ফেক পার্টি হয়ে গিয়েছে।বিজেপি মিথ্যাবাদী এবং দাঙ্গাবাজদের দল। মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ তৈরি করতে চাইছে বিজেপি। হোমওয়ার্ক না করে মিথ্যা বলে বেড়াচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। তৃণমূলের ব্লক সভাপতির যোগ্যতা, মোদী-শাহ তার ধারে কাছেও আসেন না। বাংলাকে চেনেন না মোদী-শাহ। তাই উল্টোপাল্টা মন্তব্য করে বেড়াচ্ছেন। আমাদের সরকার মূল্যবৃদ্ধি করেনি। গ্যাস, পেট্রল, ডিজেলের দাম বাড়িয়েছে বিজেপি। সিপিএম-এর মতোই এখন অত্যাচার চালাচ্ছে বিজেপি। নিজেদের সুবিধার্থে বাংলায় সাত দফা ভোট করছে। সিপিএম হার্মাদরা এখন বিজেপির ওস্তাদ। ৩৪ বছরে বহু অত্যাচার করেছে সিপিএম।