প্রতীকী ছবি।
পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী হিংসাকে তুলে ধরতে আজ মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করল কংগ্রেস। অন্য দিকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক অজয় ভি নায়েককে সরাতে এ দিনই কমিশনকে চিঠি লিখল তৃণমূল।
রাজ্য কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসি নেতা গৌরব গগৈ এবং রায়গঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী দীপা দাশমুন্সি আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনে যান। বকেয়া চার দফার ভোটে আরও বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং কমিশনের সক্রিয় হস্তক্ষেপ দাবি করেন তাঁরা। রায়গঞ্জ এবং মুর্শিদাবাদে ব্যাপক হারে হিংসার অভিযোগ তুলে তাঁরা বলেন, তৃণমূলের ‘গুন্ডারা’ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে। গগৈয়ের কথায়, ‘‘তৃণমূল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আটকানোর চেষ্টা করছে। মানুষ নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার পালন করতে চাইছেন দেখে তারা ভীত। অবিলম্বে কমিশনের আরও সক্রিয় ভূমিকা নেওয়া উচিত।’’
রায়গঞ্জের বেশ কিছু বুথে ফের ভোটের দাবি জানিয়েছেন দীপা। তাঁর অভিযোগ, ‘‘রাজ্য পুলিশের সামনেই অবাধে রিগিং হয়েছে। আমাদের পুলিশ প্রশাসনের উপর কোনও ভরসা নেই। গতকাল এক জন কংগ্রেস কর্মী নিহত হয়েছেন।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
পশ্চিমবঙ্গ থেকে পর্যবেক্ষক অজয় নায়েককে সরানোর দাবি জানিয়ে এ দিন কমিশনকে চিঠি লিখেছে তৃণমূল। লোকসভা ভোট চলাকালীন পশ্চিমবঙ্গের বিশেষ নির্বাচনী পর্যবেক্ষক অজয় নায়েকের অপসারনের দাবিতে নির্বাচন কমিশনকে আজ চিঠি দিল তৃণমূল। নায়েকের বিরুদ্ধে এর আগেও সরব হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। অভিযোগ, নায়েক ইতিমধ্যেই অবসর নিয়েছেন। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী কেবলমাত্র কর্মরত সরকারি অফিসারদের মধ্যে থেকেই পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করতে পারে নির্বাচন কমিশন।
বিষয়টি নিয়ে আজ বিশদে বিবৃতি দিয়েছেন দলের মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন। নায়েকের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পক্ষপাত নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি। ডেরেকের কথায়, ‘‘তিনি সম্প্রতি বীরভূমে যে বিবৃতি দিয়েছেন তা থেকে স্পষ্ট বিজেপি-র হয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করাটাই তাঁর লক্ষ্য। একইসঙ্গে একাধিক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর অপব্যবহার করার বিষয়টিও পরোক্ষভাবে ব্যক্ত করেছেন যা গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি নিজের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে কাজ করছেন। উনি যদি সরকারি পদে বহাল থাকতেন তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যেত।’’ তাঁর বিরুদ্ধে আপত্তির কারণগুলি নথি-সহ পাঠানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনে। ডেরেকের মতে, পক্ষপাতিত্বের সম্ভাবনা এড়াতেই কেবলমাত্র কর্মরত অফিসারদের পর্যবক্ষকদেরই দায়িত্ব দেওয়া হয়। অবসরপ্রাপ্ত অফিসারদের রাজনৈতিক স্বার্থ থাকতে পারে।
আজ এক জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘১০০ শতাংশ কেন, ৫ কোটি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠান। ওরা এলে ভালবাসবেন, খেতে দেবেন, আতিথেয়তা করবেন।’’ তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘কংগ্রেস ২০০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইতে পারে। কিন্তু তাতে পরিস্থিতি বদলাবে না। আসলে দীপা দাশমুন্সি বুঝতে পারছেন তাঁর পরাজয় নিশ্চিত। তাই এখন থেকেই পরাজয়ের গান গাইছেন।’’ এক তৃণমূল সাংসদের কটাক্ষ, ‘‘কংগ্রেস সাইনবোর্ড আছে, সাইনবোর্ডই থাকবে। কংগ্রেস নেতাদের কোনও কাজ নেই। তাঁরা দিল্লি ঘুরুন।’’