রাহুল গাঁধী। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
কংগ্রেস প্রার্থী নেপাল মাহাতোর হয়ে নির্বাচনী প্রচারে পুরুলিয়ার কোটশিলায় সভা করলেন রাহুল গাঁধী। মঙ্গলবার দুপুর দু’টোয় তাঁর সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে চাইবাসায় সভা সেরে সেখানে পৌঁছতে দেরি হয়ে যায় কংগ্রেস সভাপতির। এ দিন দুপুর পৌনে তিনটে নাগাদ হেলিকপ্টারে চেপে কোটশিলা পৌঁছন তিনি। আর শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তীব্র আক্রমণ করেন।
এ দিন রাহুল বলেন, “পাঁচ বছর ধরে চৌকিদার সেজে বসে রয়েছেন মোদী। কিন্তু চৌকিদারি করছেন শুধু অম্বানীদের। গরিব মানুষকে নিয়ে মাথাব্যথা নেই ওঁর।”
বিদেশে গচ্ছিত কালো টাকা ফিরিয়ে এনে দেশবাসীর অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদী। এ দিন তা নিয়েও খোঁচা দেন রাহুল। তিনি বলেন,“১৫ কোটি টাকা করে দেবেন বলেছিলেন। কেউ কি সেই টাকা পেয়েছেন? উল্টে অনিল অম্বানীর অ্যাকাউন্টে ৩০ হাজার কোটি টাকা ঢুকিয়ে দিয়েছেন।
— West Bengal Congress (@INCWestBengal) May 7, 2019
আরও পড়ুন: মরে গেলেও বিজেপির স্লোগান আমার মুখ দিয়ে বেরোবে না, রানিবাঁধে বললেন মমতা
ক্ষমতায় থাকতে হিংসার রাজনীতি করছে বিজেপি। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, বাংলায় হিংসার রাজনীতি করছে। আমার সম্পর্কে যা ইচ্ছা বলুন মোদী, ওঁকে হারাবই। গোটা দেশ ওঁকে শাস্তি দেবে। নরেন্দ্র মোদীকে শুধু কংগ্রেসই হারাতে পারে। নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি এবং আরএসএসকে হঠাতেই হবে। ক্ষমতায় এলে কৃষকদের জন্য নূন্যতম রোজগার প্রকল্প।ক্ষমতায় এলে ২২ লক্ষ সরকারি শূন্য পদ পূরণ করব। যুব সমাজের কর্ম সংস্থান হবে। টেলিপ্রম্পটার দেখে ভাষণ দেন মোদী। কৃষকদের ব্যাপারে কথা বলেন না, ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রসঙ্গও আনেন না বক্তৃতায়। কংগ্রেস ওঁর মুখ বন্ধ করে দিয়েছে। ক্ষমতায় এলে আইন সংশোধন করবে কংগ্রেস। ঋণ খেলাপ করলে আর জেলে যেতে হবে না চাষিদের। কৃষক-গরিবের চৌকিদার হতে পারেননি মোদী। অথচ ঋণ খেলাপির জন্য চাষিদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। টাকা চুরি করে পালিয়ে গিয়েছেন নীরব মোদী, বিজয় মাল্যরা। নোটবাতিলের সময় গরিব মানুষ লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। নোট বাতিলে ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষ। যেখানেই যান, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেন মোদী। ১৫ লক্ষ টাকা করে দেবেন বলেছিলেন, কেউ কি সেই টাকা পেয়েছে?
আরও পড়ুন: আগের বারের চেয়েও বেশি আসন নিয়ে সরকার গড়বে বিজেপি! ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভোলবদল রাম মাধবের
রাফাল চুক্তিতে দুর্নীতি করে অনিল অম্বানীকে ৩০ হাজার কোটি টাকা পাইয়ে দিয়েেন মোদী। গরিব ও কৃষকের চৌকিদার হতে পারেননি উনি, বরং অনিল অম্বানীদের সামনে গিয়ে সেলাম ঠুকেছেন। বিদেশ থেকে কালো টাকা ফিরিয়ে আনবেন বলেছিলেন, সেই টাকা এসেছে কি? অনিল অম্বানী, মেহুল চোকসি, বিজয় মাল্যদের চৌকিদার উনি। পাঁচবছর ধরে দিল্লিতে চৌকিদার হয়ে বসে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। এত গরমের মধ্যেও সভায় এসেছেন আপনারা, তারজন্য ধন্যবাদ সকলকে।