সঙ্গে: রোড শোয়ে সামিল দাড়িভিটে নিহতের পরিবার। নিজস্ব চিত্র
বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার পর দাড়িভিট থেকেই প্রচার শুরু করেছিল বিজেপি। বৃহস্পতিবার ইসলামপুরে প্রার্থী সৌম্যরূপ মণ্ডলের হয়ে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মিছিলে নজরে পড়ল দাড়িভিট-কাণ্ডে নিহত দুই পরিবারের সদস্যকে।
এ দিন ইসলামপুরের স্টেট ফার্ম কলোনি এলাকা থেকে জীবন মোড় পর্যন্ত সেই মিছিল হয়। দিলীপ ছাড়াও বিজেপির জেলা নেতৃত্বের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন সেই মিছিলে। ২০১৬ সালেও ইসলামপুর বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন চিকিৎসক সৌমরূপ। সেইসময় তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুল করিম চৌধুরী ও কংগ্রেস থেকে সদ্য বিদায়ী বিধায়ক কানাইলাল আগরওয়াল। এবার বিজেপি এক ইঞ্চি মাটিও ছাড়তে চায় না। সেখানে রীতিমতো রাজ্য নেতৃত্বকে দিয়ে প্রচারে নেমেছে তারা।
এ দিন বিকেল নাগাদ ইসলামপুরে পৌঁছন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ। হাইস্কুল মাঠে হেলিকপ্টার থেকে নেমে প্রার্থীর বাড়িতেও যান তিনি। তাঁকে সঙ্গে নিয়ে রোড শো শুরু হয় স্টেট ফার্ম কলোনি মাঠ থেকে। জাতীয় সড়ক ধরে রোড শো করে হাইস্কুল মাঠ থেকে রওনা দেন শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে। আজ, শুক্রবার বাবুল সুপ্রিয়র সভা করার কথা দাড়িভিট থেকে সামান্য দূরে কুন্দরগাঁওয়ে। এ দিন প্রার্থীর বাড়িতে বসে দিলীপ মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘১৯ তারিখের পর এখান থেকে তৃণমূলের পতন শুরু হবে। ওঁর লজ্জা থাকলে পদত্যাগ করা উচিত। ওঁর জন্যই একটি দিন প্রচার কমে গেল। ওঁর যোগ্যতা নেই শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা।’’ দিলীপের দাবি, মানুষের মাথা খারাপ হলে অনেক কিছুই বলে। সব কিছুর উত্তর হয় না। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙ্গার প্রসঙ্গ নিয়ে মানুষ ১৯ তারিখ প্রতিক্রিয়া দেবে বলে দাবি তাঁর।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
অপরদিকে, বিজেপির মিছিলে দাড়িভিটে নিহত পরিবারের উপস্থিতি প্রসঙ্গে বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলার সভাপতি নির্মল দাস জানান, সিবিআই তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত আমরা দাড়িভিট নিয়ে লেগে থাকব। প্রার্থী নিজেও দাড়িভিটে শপথ নিয়ে প্রচার শুরু করেছিলেন।