তৃণমূল-বিজেপির ঝামেলা প্রচার ঘিরে উত্তপ্ত দত্তপুকুর

এ দিন সকালে ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংহের প্রচার ছিল দত্তপুকুরে। এলাকাটি আমডাঙা বিধানসভার মধ্যে পড়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ব্যারাকপুর শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৯ ০২:৩৭
Share:

কর্মিসভা: বামেদের কর্মিসভা। শ্যামনগরে। —নিজস্ব চিত্র।

কোথাও প্রার্থী ছাড়া কর্মী-সমর্থকেরা মিছিল করলেন। কেউ সারলেন জনসংযোগ, কোনও দল আবার রবিবার জনসভা করল। তবে রবিবারের প্রচার নিয়ে ঝামেলা বাধল তৃণমূল-বিজেপির।

Advertisement

এ দিন সকালে ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংহের প্রচার ছিল দত্তপুকুরে। এলাকাটি আমডাঙা বিধানসভার মধ্যে পড়ে। আমডাঙা বিধানসভা ব্যারাকপুর লোকসভার মধ্যে।

দত্তপুকুরের শিবালয়ে বুড়িমার মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন। এর পরে তাঁর মিছিল করার কথা ছিল দত্তপুকুর থানা সংলগ্ন এলাকায়। সেখানে কর্মী-সমর্থকেরা জড়ো হচ্ছিলেন। বিজেপির অভিযোগ, সেই সময়ে আচমকা তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্য দলবল নিয়ে তাঁদের উপরে চড়াও হয়।
অর্জুনের অভিযোগ, তৃণমূলের ওই পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের হুমকি দেয়, বিজেপির হয়ে প্রচার করা যাবে না। এলাকায় থাকতে হলে বিজেপি করা যাবে না। এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হলে তৃণমূলের লোকেরা তাঁদের মারধর শুরু করে। তাতে এক মহিলা, এক বৃদ্ধ-সহ মোট তিন জন গুরুতর জখম হন।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

অর্জুন তখন শিবালয় এলাকায় মিছিল করছিলেন। খবর পাওয়া মাত্র প্রচার বন্ধ রেখে তিনি দত্তপুকুর থানার সামনে পৌঁছন। তার পরেই তিনি লোকজন নিয়ে থানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল ভয় পেয়ে আমাদের আক্রমণ করছে। পুলিশের নাকের ডগায় ঘটনা ঘটল। যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা, সেখানে মহিলাদের আক্রমণ করছেন তাঁরই দলের লোকেরা। বিরোধী দলের মহিলারা রোজই আক্রান্ত হচ্ছেন। এটা লজ্জার।’’
এর পরেই বিজেপির তরফ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ তদন্তের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ তোলে বিজেপি।

তবে তৃণমূল অবশ্য বিজেপির এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘‘বিজেপির লোকেরা প্রচারের নামে আমাদের কয়েকজন কর্মীর বাড়িতে হামলা চালায়। তখন তাঁরা তা প্রতিরোধ করে। বিজেপির প্রার্থী হতাশা থেকে এই ধরণের অভিযোগ করছেন।’’

তৃণমূল প্রার্থী দীনেশ ত্রিবেদী নিজে অবশ্য রবিবারের প্রচার এড়ালেন। এ দিন দলের বিশ্বস্ত নেতাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন তিনি। মনোনয়নপত্র দাখিলের কাজও এগিয়ে রাখেন দীনেশ। তবে রবিবারের প্রচারে পিছিয়ে ছিল না তাঁর দল। এ দিন নৈহাটি, শ্যামনগর, হালিশহর, কাঁচরাপাড়া, আমডাঙা-সর্বত্রই মিছিল করেন দলের নেতা কর্মীরা। ব্যারাকপুর, টিটাগড়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার করেন দলের নেতা কর্মীরা।সিপিএম প্রার্থী গার্গী চট্টোপাধ্যায় এ দিন সকালে ভাটপাড়া, কাঁকিনাড়া এলাকায় পায়ে হেঁটে প্রচার করেন। বিকেলে শ্যামনগরে সিপিএম কর্মিসভা করে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী। ওই সভায় কর্মীদের ভিড় ছিল ভালই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন