ELECTION

রাজ্য সরকারের সামাজিক প্রকল্পগুলো চালু রাখতে ‘সমব্যথী’ নির্বাচন কমিশন

মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগের সুরে বলেছিলেন: “তিন মাস ধরে নির্বাচন চলবে। যদি উন্নয়মূলক প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে অসুবিধায় পড়বেন গরিব মানুষ।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৯ ১৫:২৮
Share:

প্রকল্পগুলি চালু রাখার জন্য আবেদনে উদ্যোগী হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরেই আদর্শ আচরণবিধি চালু হয়ে গিয়েছে। সে কারণে রাজ্য সরকারের ‘সমব্যথী’, ‘রূপশ্রী’, ‘স্বাস্থ্যসাথী’, ‘কৃষকবন্ধু’র মতো সামাজিক প্রকল্পের আর্থিক অনুদান আটকে যায়।

Advertisement

এই প্রকল্পগুলিতে যাতে লোকসভা নির্বাচনের সময়ও চালু রাখা যায়, সে বিষয়ে রাজ্যের তরফে নির্বাচন কমিশনে আবেদন জানানো হয়েছিল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই উদ্যোগী হয়েছিলেন। তিনি নবান্নে দাঁড়িয়ে মন্তব্য করেছিলেন, “জনকল্যাণমূলক কাজে এই প্রকল্পগুলি চালু করা হয়েছে। তা থেকে সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করা ঠিক হবে না।”

এবার সেই জট কাটতে চলেছে। এ বিষয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে পর্যালোচনা করে প্রকল্পগুলি চালু রাখা যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে কমিশন । ইতিমধ্যে ‘সমব্যথী’ প্রকল্পে ছাড় মিলেছে বলে কমিশনের একটি সূত্র জানাচ্ছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ২৭০ বুথে অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের কোনও সদস্য মারা গেলে, সৎকারের জন্যে সমব্যথী প্রকল্পে টাকা দেওয়া হয়। আর্থিক ভাবে দুর্বল পরিবারের কোনও মেয়ের বিয়ের জন্য রূপশ্রী প্রকল্পে অনুদান দেওয়া হয়। অন্য প্রকল্পগুলিতেও দ্রুত অনুমতি মিলবে বলে আশাবাদী রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তারা।

রাজ্যের তরফে জানানো হয়, এই সময় ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে আলু কেনার সিদ্ধান্তে কমিশনের আপত্তি। ফলে, চাষিরা আর্থিক সমস্যার মুখে পড়ছেন। নতুন করে কৃষকদের নামও নথিভূক্ত করারও অনুমতি মিলছে না। কৃষকবন্ধুদের কাছ থেকে আলু কেনার সময়সীমা বাড়ানোর আবেদনও জানানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগের সুরে বলেছিলেন: “তিন মাস ধরে নির্বাচন চলবে। যদি উন্নয়মূলক প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে অসুবিধায় পড়বেন গরিব মানুষ।” কমিশন এ বার সেই বিষয়ই খতিয়ে দেখবে বলে সূত্রের খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন