কমিশন শো-কজ করল তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে। ফাইল চিত্র।
এবার নির্বাচন কমিশনের কোপে তৃণমূল নেতা এবং রাজ্যের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। রাজ্যের বিরোধী দল এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য তাঁকে শো-কজ নোটিস পাঠাল নির্বাচন কমিশন।
এই সপ্তাহের শুরুতেই কোচবিহারের তুফানগঞ্জে তৃণমূল কার্যালয়ে একটি দলীয় সভা ছিল। সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কোচবিহারের তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বিজেপির সমালোচনা করতে গিয়ে বলেন, ‘এই বছর করলার ফলন ভালো হয়েছে। বিরোধীরা ভোট প্রচারে এলে আমাদের কর্মীরা তাঁদের করলার জুস খাওয়াবে।’’
এখানেই না থেমে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি। নির্বাচন উপলক্ষ্যে রাজ্যে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তাঁর মন্তব্য ছিল,‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী কয়েক দিন থাকবে। ভোটের পর চলে যাবে। তারপর আমাদেরই থাকতে হবে পাঁচ বছর। তাই ভয়-ভীতি যাই দেখানো হোক, আপনারা ভয় পাবেন না।’’
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
রাজ্যের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের এই দুটি মন্তব্য নিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতরে অভিযোগ জানান বিরোধীরা। তার ভিত্তিতেই রিপোর্ট তলব করা হয় জেলা নির্বাচন আধিকারিকের কাছে। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখেই রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে শোকজ করল কমিশন।
আরও পড়ুন: ইয়েদুরাপ্পার ডায়েরিতে ১৮০০ কোটির কেলেঙ্কারি? তদন্ত চাইল কংগ্রেস, অভিযোগ ওড়াল বিজেপি
অন্য দিকে থিম সং বিতর্কে কমিশনের শো-কজের জবাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং আসানসোল কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। কমিশন সূত্রে খবর, তাঁর জবাবে সন্তুষ্ট নন আধিকারিকেরা। এই বিষয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর বাবুলের জবাব সহ পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জাতীয় নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়ে দিয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বাবুলের টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা থিম সং-এর বিষয়টিও ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বদলেছে সমীকরণ, ভোটের মুখে উডবার্নের কেবিনে ‘ভিভিআইপি’ ছত্রধর
রবীন্দ্রনাথ ঘোষের পাশাপাশি গত বুধবার ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দীপক অধিকারীর (দেব) সমর্থনে মেদিনীপুরের অরবিন্দ স্টেডিয়ামের একটি কর্মিসভায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী বেশি বাড়াবাড়ি করলে তাদের হাত মুচকে ভেঙে দেব।’’ এর পরই এ নিয়ে কমিশনে অভিযোগ করে বিরোধীরা। এ বিষয়টি নিয়েও জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর।