এ ভাবেই রক্তাক্ত হন সাধারণ মানুষ। ছবি: ভিডিয়ো গ্র্যাব।
হিংসা রুখতে ১০০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানো হয়েছিল। তা সত্ত্বেও রক্তপাত এড়ানো গেল না পঞ্চম দফার ভোটে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের খবরে সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল বাংলার রাজনৈতিক মহল। তার মধ্যেই ব্যারাকপুরে হিংসার শিকার হলেন সাধারণ মানুষ।
ব্যারাকপুর স্টেশন লাগোয়া শহিদ মঙ্গল পান্ডে রোডের বাসিন্দা নাট্যকার চন্দন সেন। তিনি যে আবাসনে থাকেন,সেখান থেকে কয়েক হাত দূরে একটি বুথে সোমবার ভোটগ্রহণ চলছিল। সেই উপলক্ষে সকাল থেকে ভিড় জমিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। চন্দনবাবুর আবাসনের নীচেও অনেকে বসেছিলেন। সেখানে একদল লোক আচমকা হামলা চালায় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
আবাসনের এক বাসিন্দা জানান, আবাসনের নীচে বসে ছিলেন কয়েকজন। সেইসময় আচমকাই একদল লোক এসে হাজির হয়। ভাঙচুর চালায়। বেধড়ক মারধরও করে। তাতে কয়েকজনের মাথা ফেটে গিয়েছে। কে বা কারা হামলা চালায় তা যদিও নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি, তবে তৃণমূলের গুন্ডারা হামলা চালিয়েছেন বলে দাবি করেন আক্রান্তদের মধ্যে একজন।
আরও পড়ুন: আমডাঙায় এ বার বাঁশ নিয়ে পাল্টা তাড়া অর্জুন সিংহকে, দেখুন ভিডিয়ো
আরও পড়ুন: প্রার্থীর পরিচয়পত্র না দেখিয়ে বুথে! প্রসূনকে ধাক্কা দিয়ে বার করে দিল কেন্দ্রীয় বাহিনী
হামলায় যাঁরা রক্তাক্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের শিক্ষক দেবাশিস পাল, বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত বুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। আহত হয়েছেন শান্তিনগর স্কুলের প্রধান শিক্ষক কনক সর্বজ্ঞ-সহ আরও কয়েকজন। আক্রান্ত হওয়ার পরেও ভোট দিতে যান তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে টিটাগড় থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
ভোট চলাকালীন এ দিন ব্যারাকপুরের মোহনপুরে আক্রান্ত হন বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংহও।