উনিশের লোকসভা ভোটে দলের ৪২ জন প্রার্থীকে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বুধবার কালীঘাটে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্রে নিজের সম্পর্কে ‘সত্য’ তথ্য দেবেন, স্বচ্ছ থাকবেন—লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ৪২ প্রার্থীকে এই নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার কালীঘাটে এই বৈঠকেই দলের তরফে মনোনয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন নিয়মের কথাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘জনগণের প্রতিনিধি হিসাবে সর্বক্ষণ কাজ করতে হবে। তৃণমূলের মতাদর্শ মেনে সেই কাজ করতে হবে।’’
এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত প্রার্থীদের মধ্যে অনেকেই প্রথমবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সেই কারণে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী সকলকেই কমিশনের নিয়মাবলী সম্পর্কে অবহিত করেন। মমতা অবশ্য, সামগ্রিকভাবে নিয়মনীতি সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলেছেন। বিশেষ নির্বাচন পরিচালনায় প্রয়োজনীয় খরচের জন্য প্রার্থীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও স্বচ্ছ রাখতে হবে। এছাড়াও সাংগঠনিক স্তরেও জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করে প্রচার ও অন্যান্য কাজ করতে বলেছেন তিনি।
কয়েকটি আসনের জন্য দলে একাধিক প্রত্যাশী ছিলেন। সে কথা মাথায় রেখে এদিনের বৈঠকে তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘‘যাঁরা লড়তে পারছেন না, তাঁদের দল সম্মানের সঙ্গে রাখবে। অন্য দায়িত্ব দেওয়া হবে।’’ দলের রাজ্য নেতাদেরও নিজেদের দায়িত্বে থাকা জেলাগুলির প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার কথা বলেছেন তৃণমূলনেত্রী।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
তৃণমূলের এবারের প্রার্থীতালিকায় এমন অনেক বিধায়ক আছেন যাঁরা অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন। এদিন দলীয় বৈঠকে মমতা তাঁদের বিধায়কপদ থেকে পদত্যাগ করতে বলেছেন। তা না হলে বিধানসভায় দলত্যাগবিরোধী আইনে সমস্যা বাড়তে পারে তাঁদের। দলের নির্দেশ মতো আজ বৃহস্পতিবার এইরকম সকলেই পদত্যাগ করবেন বলে দলীয় সূত্রে খবর। তৃণমূলের তরফেও দলের বাইরে থাকা এইরকম প্রার্থীদের এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় সদস্যপদ দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দলের প্রার্থী হলে নিয়ম মতো সকলকেই দলীয় সদস্যপদ নিতে হয়। সেই প্রক্রিয়া চলছে।’’ এই তালিকায় রয়েছেন দার্জিলিং থেকে নির্বাচিত গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা’র বিধায়ক অমর সিংহ রাই। তিনি দার্জিলিং কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
আরও পড়ুন: সব বুথই স্পর্শকাতর, দাবি বিরোধীদের, মমতা বললেন, এটা রাজ্যের অপমান