‘এই পালিয়ে যাচ্ছিস কেন? সামনে আয়’, রাম-ধ্বনি শুনে রুখে দাঁড়ালেন মমতা

তৃণমূলের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির সামনে এই ধরনের অভব্যতা এক ‘পরিকল্পিত চক্রান্ত’। এর উদ্দেশ্য অশান্তিতে প্ররোচনা দেওয়া।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০১৯ ০৩:০৭
Share:

‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি শুনে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার চন্দ্রকোনায়। নিজস্ব চিত্র

কেশপুর থেকে চন্দ্রকোনার দিকে এগোচ্ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়। শনিবার দুপুরে রাধাবল্লভপুরের কাছে চন্দ্রকোনা রোডে হঠাৎই রাস্তার পাশে দাঁড়ানো কয়েক জন মমতার গাড়ি দেখে ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে থাকেন। চকিতে মুখ্যমন্ত্রী গাড়ি থামিয়ে নেমে তাঁদের তাড়া করতেই পালিয়ে যান ওই ব্যক্তিরা। মুখ্যমন্ত্রী বলতে থাকেন, ‘‘এই পালিয়ে যাচ্ছিস কেন? সামনে আয়।’’ এর পরেই চন্দ্রকোনায় পদযাত্রায় যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘দু’দিন পরে ভোট চলে যাবে। ভোট মিটে গেলে সবাইকে ভাল ভাবে এখানে থাকবে হবে। এটা মাথায় রেখে দিয়ো। বেশি গরম দেখিয়ো না।’’

Advertisement

তৃণমূলের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির সামনে এই ধরনের অভব্যতা এক ‘পরিকল্পিত চক্রান্ত’। এর উদ্দেশ্য অশান্তিতে প্ররোচনা দেওয়া। তবে রাজ্যে এই ধরনের কাজ সফল হবে না। মমতার কথায়, ‘‘চন্দ্রকোনা রোডে কয়েকটা বাঁদর ছিল। ওরা রাজনীতি করে না। টাকা দিয়ে কয়েকটাকে কিনেছে। টাকার হুন্ডি নিয়ে নেমেছে। একটুও সৌজন্য জানে না, এমন রাজনৈতিক দল ভূ-ভারতে দেখিনি।’’

রাজনৈতিক বিরোধ সত্ত্বেও পারস্পরিক সৌজন্য বজায় রাখার আবেদন জানিয়ে মমতা বলেন, ‘‘রাজনীতিতে লড়াই আপনিও করবেন। আমিও করব। আপনি আপনার কথা বলবেন। আমি আমার কথা বলব। কিন্তু আপনারা যে ভাবে আমার গাড়ির সামনে কয়েক জনকে দিয়ে গালাগাল করালেন। এ বার আমি যদি আমার কর্মীদের এটা করতে বলি, পরিস্থিতি কী হবে বুঝতে পারছেন?’’ তিনি বিরোধীদের সঙ্গে ভদ্রতা করেন বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘আপনাদের সংবিধানে ভদ্রতা, সভ্যতা নেই। আমরা সভ্যতা-সংস্কৃতি শিখেছি।’’

Advertisement

ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। এর মধ্যে এক জন চন্দ্রকোনা দক্ষিণ মণ্ডলের বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি। যার প্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ

হুমকি দেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে কি জয় শ্রীরাম বলা অপরাধ? আমিও দিদিমণিকে বলছি, সাবধানে কথা বলুন। যা অত্যাচার করেছেন, তাতে ২৩ মে-র পরে এ রাজ্যে আর থাকতে পারবেন না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন