লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

আগে দিল্লি সামলা, তার পর দেখিস বাংলা, দিনহাটায় মোদীকে কটাক্ষ মমতার

দিনহাটা থেকেই নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দিনহাটা শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৯ ১৬:০০
Share:

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

একই দিনে প্রথমে শিলিগুড়ি, তার পর কলকাতার ব্রিগেড। পরপর দু’টি জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দেগেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর পর দিনহাটার জনসভায় পাল্টা বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর দুই নেতা-নেত্রীই একই দিনে নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন পশ্চিমবঙ্গে।

Advertisement

রাজ্যের বিকাশে স্পিড ব্রেকার হয়ে বাধার সৃষ্টি করছেন— শিলিগুড়ির কাওয়াখালিতে মমতার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন মোদী। পাশাপাশি বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান অভিযান নিয়েও তৃণমূলনেত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

এর পর ব্রিগেডের সভাতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে একের পর তোপ দাগেন নরেন্দ্র মোদী। মোদীর এই অভিযোগের জবাব দিতে মমতা বেছে নেন কোচবিহারের দিনহাটার জনসভাকে। দুপুরেই উত্তরবঙ্গের পথে রওনা হওয়ার সময় তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, সমস্ত অভিযোগের জবাব দেওয়ার জন্য তিনি বেছে নেবেন দিনহাটাকেই। সেইমতো শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মোদীই ছিলেন তাঁর আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু। নরেন্দ্র মোদীকে এক্সপায়ার্ড প্রাইম মিনিস্টার বলে কটাক্ষ করেন তিনি।

Advertisement

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

কী বললেন মমতা—

• বিজেপিকে বদলান। ভারতবর্ষকে রক্ষা করুন। দিল্লিতে চাই জনগণের সরকার। রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ৪২টিতেই জিতবে তৃণমূল।

• লোকসভা ভোটে ৪১ শতাংশ আসনে মহিলা প্রার্থী দিয়েছি আমরা।

• টাকা দিয়ে ভোট কেনা যাবে না। আপনারা কেউ টাকা নিয়ে বিজেপিকে ভোট দেবেন না। নোটবন্দির নামে জনগণের টাকা লুঠ করা হয়েছে।

• বাংলাও ৪২ আসনে একটা তো পেয়ে দেখাও!

• ‘টাচ মি ইফ ইউ ক্যান। ক্যাচ মি ইফ ইউ ক্যান’

• প্রচারে ভারতীয় সেনা নিয়ে কোনও কথা বলা যাবে না, জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু কী করছেন উনি? দেশটাকে জবরদস্তি করে দখল করে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। আমি বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে লড়াই করতে প্রস্তুত আছি।

• বাংলায় এনআরসি চালু করতে দেব না।

• অসমে ২৩ লক্ষ মুসলিম বাঙালিদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। হিন্দুদেরও বাদ দেওয়া হচ্ছে।

• জোড়াফুলে ভোট দিন, দিল্লিকে বদলে দিন। জোড়াফুলে ভোট দিন, মোদিকে সরিয়ে দিন।

• বাংলার সঙ্গে পাঙ্গা নিয়ে কোনও লাভ নেই। আগে দিল্লি সামলা। এগিয়ে যাচ্ছে বাংলা।

• তোমার রাজত্বে ১২০০০ কৃষক আত্মহত্যা করেছে। বিজেপি লুটেরাদের টিকিট দেয়। অস্ত্রব্য়বসায়ীদের টিকিট দেয়। আমরা মিথ্যা বলি না, কুৎসা করি না, দাঙ্গা করি না।

• কৃষকদের টাকা, শস্যবীমার টাকা, খাজনা মকুবের টাকা, সব আমরা দিই। পরিবারের লোকের কাছে জমি হস্তান্তর করতে গেলে মিউটেশন ফি তুলে দিয়েছি।

• রাজবংশী লোকেদের দিল্লি নিয়ে গিয়ে কত কিছু করে দেবে বলেছিল। কিছুই করেনি। আমরা রাজবংশী অ্যাকাডেমি তৈরি করে দিয়েছি। কামতাপুরিদের জন্য কাজ করেছি।

• চিটফান্ডের বিরুদ্ধে আমরাই তদন্ত শুরু করি। অসনের ডেপুটি সিএম সারদাকাণ্ডে কত টাকা নিয়েছেন?

• এক জনের জন্য রাস্তা বন্ধ, আকাশ বন্ধ। মানুষকে ভয় পায় বলেই এত বেশি নিরাপত্তা। কোনও সম্পর্ক নেই মানুষদের সঙ্গে।

• ক্ষমতা থাকলে টিভি বিতর্কে আসুন। অথবা প্রকাশ্যে আসুন। আমি আপনার সঙ্গে মুখোমুখি বিতর্কে নামবো।

• উনি না জানেন জন্ম, না জানেন মৃত্যু। আমাদের জগাই-মাধাই বলেছেন উনি। উনি হলেন গদাই।

• আমি এখন মোদীবাবুকে এক্সপায়ারি বাবু বলে ডাকবো। উনি আর প্রধানমন্ত্রী নন। উনি বলেছেন আমরা উন্নয়ন করিনি। গরিবদের জন্কৈয কাজ করিনি। কৈফিয়ত দিন। আমি তর্কের চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি। উনি গায়ের জোরে মিথ্যা বলছেন। উনি এক্সপায়ারি প্রাইম মিনিস্টার।

• তফশিলি জাতি এবং উপজাতি হিসেবে শংসাপত্র পেতে গেলে যে নিয়ম আছে, তা পাল্টানোর দরকার। আমরা সাড়ে সাত বছরে ৯ লক্ষ তফশিলি শংসাপত্র দিয়েছি। এর আগে ৭০ বছরে দেওয়া হয়েছিল মাত্র আড়াই লক্ষ শংসাপত্র।

• আমি অনেকবার দিনহাটায় এসেছি। ছিটমহলের সমস্যার সমাধান করেছি। জমি নিয়ে জট কাটিয়েছি। ১১০০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে ছিটমহলের উন্নয়নের জন্য।

• দিনহাটার মঞ্চে বক্তব্য রাখতে শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন