—ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের প্রথম দফার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শুরু হচ্ছে আজ, সোমবার থেকে। রাজ্যে প্রথম দফায় যে দু’টি কেন্দ্রে ভোট, সেই কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে বিজেপি এবং কংগ্রেস এখনও প্রার্থী দেয়নি। ভোটের আগে বাকি অবশ্য আর চারটি মাত্র রবিবার। তাই এ দিন তৃণমূলের কোচবিহারের প্রার্থী পরেশ অধিকারী এবং আলিপুরদুয়ারের দশরথ তিরকে সারা দিন প্রচারের জন্য ছুটলেন। কর্মিসভা করলেন। প্রচারে নেমেছেন এই দুই কেন্দ্রের বাম প্রার্থী গোবিন্দ রায় ও মিলি ওরাওঁও।
তবে দুই কেন্দ্রেই ভোট প্রচার সামনের সপ্তাহ থেকে তুঙ্গে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। কোচবিহারে তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির বৈঠকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানান, ২৫ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার সফর করবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনি কোথায় কবে মিটিং করবেন, তা পরে জানানো হবে। যদিও দলীয় সূত্রের খবর, কোচবিহার রাসমেলার মাঠ এবং মাথাভাঙায় সভা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। রবীন্দ্রনাথবাবু দাবি করেছেন, ‘‘কোচবিহারে পাঁচ লক্ষ ভোটে জিতব আমরা।’’ তবে তৃণমূলেরই একটি অংশ মনে করছে, পরেশবাবু কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়তে পারেন। তৃণমূলের নেতাদের দাবি, নেত্রীই তাই ভরসা।
দুই কেন্দ্রেই প্রার্থী এখনও স্থির না হওয়ায় কংগ্রেস ও বিজেপির নিচুতলার কর্মীদের হতাশা যদিও ধরা পড়ছে। বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার অবশ্য বক্তব্য, ‘‘কর্মীরা কেউ হতাশ নন, ক্ষোভও নেই। তাঁরা মানুষের কাছে যাচ্ছেন।’’ তবে এই দিন এই দুই দলের বড় ধরনের প্রচার চোখে পড়েনি। বামেদের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত আসন সমঝোতা না হলে, কংগ্রেস বাকি মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে প্রার্থী দিতে পারবে কি না, সে প্রশ্নও উঠেছে। কোচবিহার জেলা কংগ্রেসের সভাপতি শ্যামল চৌধুরী অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘আমরা তৈরি।’’ এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কিন্তু এগিয়ে। তৃতীয় দফায় ভোট দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে। এ দিন সেখানে মন্ত্রী গৌতম দেবের উপস্থিতিতে তৃণমূলের বৈঠক হয়েছে। দলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র ও প্রার্থী অর্পিতা ঘোষ প্রচারে নেমেছেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯