ভোটের জন্য অতিরিক্ত বিদ্যুৎ

নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য অতিরিক্ত ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ হাতে রাখা হচ্ছে।

Advertisement

পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায় 

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:৫৮
Share:

ইতিমধ্যেই বুথ হবে এমন প্রায় ৯০০টি জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়ে গিয়েছে।

লোকসভা নির্বাচনের সময়ে রাজ্য জুড়ে ভোটের দিনগুলিতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা রাখতে কার্যত সাজ সাজ রব বিদ্যুৎ ভবনে। অতিরিক্ত বিদ্যুতের ব্যবস্থা তো করা হচ্ছেই, সব দিকে নজরদারি রাখতে ভোটের সময় লোকবল বাড়িয়ে আরও জোরদার করা হবে কন্ট্রোল রুমও। বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের রক্ষণাবেক্ষণের কাজের পাশাপাশি, রাতে কোথাও যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে সারানোর জন্য যাতে ‘নাইট মোবাইল ভ্যান’ পৌঁছতে পারে, তারও প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

সূত্রের খবর, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য অতিরিক্ত ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ হাতে রাখা হচ্ছে। যা খবর, ইতিমধ্যেই বুথ হবে এমন প্রায় ৯০০টি জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়ে গিয়েছে। সমস্ত জেলাশাসকের কাছে আবেদন করা হয়েছে, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কোথাও নতুন বিদ্যুৎ লাগলে তা যেন জেলার বিদ্যুৎ কর্তাদের দ্রুত জানানো হয়। সম্প্রতি নবান্নে ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে রাজ্যের বিদ্যুৎ কর্তাদের সঙ্গে প্রশাসনের শীর্ষ আমলাদের একটি বৈঠক হয়। সেখানে বিদ্যুৎ দফতরের প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্টও পেশ করা হয়েছে। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা নিয়ে আশ্বস্ত করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদেরও।

কোথা থেকে আসবে এত বাড়তি বিদ্যুৎ? রাজ্যের এক বিদ্যুৎ কর্তা জানাচ্ছেন, এ বছর শীতে রাজ্যের উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ অন্যকে বিক্রি করা হয়েছিল। এখন সেই বিদ্যুৎই তাদের কাছ থেকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। বিদ্যুৎ শিল্পের ভাষায় যাকে ‘পাওয়ার ব্যাঙ্কিং’ বলে। সেই ব্যবস্থায় এপ্রিল থেকে মে পর্যন্ত কমপক্ষে ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। ওই কর্তার দাবি, এ ছাড়াও নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে বিদ্যুৎ কেনার স্বল্পমেয়াদি চুক্তিও করে রাখা হয়েছে। সেখান থেকেও ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। ফলে ভোটের দিনগুলিতে রাজ্যে কোথাও বিদ্যুৎ ঘাটতি হওয়ার কথা নয়।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

কেন এত ব্যস্ততা?

ভোট কেন্দ্রে আলো জ্বলবে, ফ্যান চলবে। ভোটের কয়েক দিন আগে থাকতে ইভিএমের ব্যাটারিও চার্জ দিতে হবে। স্ট্রং রুমেও থাকতে হবে যথেষ্ট আলোর ব্যবস্থা। রাজ্য পুলিশ-সহ আধা সামরিক বাহিনী যেখানে থাকবে সেখানেও আলো, ফ্যানের ব্যবস্থা থাকবে। কোথাও কোথাও এসিও চলতে পারে। আর প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিদ্যুৎ ছাড়া কোনও কাজ হবে না। ফলে এপ্রিল-মে-র গরমে সাধারণ গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে যেমন সকাল থেকে রাত টানা বিদ্যুৎ সরবরাহ করে যেতে হবে, প্রতি বুথে আলো জ্বলছে কি না সে খবরও রাখতে হবে। শুধু তা-ই নয়, বিদ্যুৎ চলে গিয়ে ভোটের কাজে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার মোকাবিলা করতে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে বিদ্যুৎ কর্মীদের। ছুটি নেওয়ার ক্ষেত্রেও কিছু নিয়ন্ত্রণ আনা হচ্ছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদেরও ছুটি না নিতে অনুরোধ করা হবে বলেও বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement