ডেয়ারি কর্মীদের ঢালাও ভাবে ভোটের কাজে যুক্ত করায় কলকাতা থেকে হাওড়া পুর এলাকায় দুধ সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন রাজ্যের দুগ্ধ কমিশনারের। প্রতীকী ছবি।
হাসপাতাল, বন্দিশালা-সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দুধের জোগান দেওয়ার মতো নিত্যদিনের জরুরি কাজ করেন তাঁরা। ডেয়ারির সেই সব কর্মীকে ঢালাও ভাবে ভোটের কাজে যুক্ত করায় কলকাতা থেকে হাওড়া পুর এলাকায় দুধ সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন রাজ্যের দুগ্ধ কমিশনার। পরিস্থিতির মোকাবিলায় চিঠি লিখে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি।
দুগ্ধ কমিশনার সুমনকুমার ঘোষের অভিযোগ, দুধ উৎপাদন, বণ্টনের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের যে-ভাবে নির্বিচারে ভোটের কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে, তাতে বিভিন্ন হাসপাতাল, সংশোধনাগার, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এবং শিশু ও বয়স্কদের দুধের জোগান দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে। অন্তত ১০৪ জন কর্মীকে ভোটের ডিউটি থেকে ছাড় না-দিলে সমস্যা হবে বলে সরকারি সূত্রের খবর।
কলকাতা দক্ষিণের জেলা নির্বাচনী অফিসারকে মঙ্গলবার লেখা দুগ্ধ কমিশনারের চিঠিতে বলা হয়েছে, অভূতপূর্ব ভাবে এ বার বেলগাছিয়ার সেন্ট্রাল ডেয়ারির প্রায় সব কর্মীর নামই ভোটের ডিউটির জন্য কমিশনের পোর্টালের অন্তর্ভুক্ত করানো হয়েছে। সেন্ট্রাল ডেয়ারি সূত্রের খবর, তাঁদের শ’দুয়েক কর্মী বেলগাছিয়ায় কর্মরত। বেশ কয়েক জন কর্মী বিভিন্ন হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত। কারা জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত, কমিশনের পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করার সময়েই সেটা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে দেখা যায়, ভোটের ডিউটি করার জন্য সেই কর্মীদেরও বাছাই করা হয়েছে! রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের তরফে বারীন ঘোষ বলেন, ‘‘পরিস্থিতি যা, তাতে সার্বিক ভাবেই দুধ পরিষেবা লাটে ওঠার সম্ভাবনা। কমিশনের এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আমরা দুগ্ধ কমিশনারকে সব জানিয়েছিলাম।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী অফিসার সঞ্জয় বসু অবশ্য বলছেন, ‘‘কমিশন কখনওই জরুরি পরিষেবা ব্যাহত করে ভোট করার পক্ষপাতী নয়। ভোটের ডিউটি ঠিক করার সময়েও এটা মাথায় রাখা হয়েছে।’’