প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র
খাবারে যেন লঙ্কা কম থাকে। মেনুতে যেন কোনওভাবেই না থাকে টক ফল। পদে যেন পনির বেশি না থাকে। প্রধানমন্ত্রীর খাবার নিয়ে এমনই নানাবিধ লিখিত নির্দেশ এসেছে তাঁর দফতর থেকে। সব ঠিক থাকলে আগামী ৩ এপ্রিল উত্তরবঙ্গে সভা করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রোটোকল অনুযায়ী শুরু হয়ে গিয়েছে প্রশাসনিক প্রস্তুতিও। মোদী কী খেতে পছন্দ করেন বা কী আয়োজন রাখতে হবে তার তালিকা প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে উত্তরের জেলাগুলোয়।
খাবারের তালিকা ও নির্দেশিকায় পরিষ্কার লেখা রয়েছে, খাবার মশালাদার হবে না। রান্নায় লঙ্কা এবং তেল যেন কম দেওয়া হয় তা বিশেষ ভাবে লেখা রয়েছে। আগামী বুধবার কাওয়াখালিতে সভা সেরেই প্রধানমন্ত্রীর কলকাতায় চলে যাওয়ার কথা রয়েছে। এখনও পর্যন্ত রাতে থাকার কথা নেই। যদিও প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে পাঠানো খাদ্য তালিকায় প্রাতঃরাশ, দুপুরের খাওয়া, বিকেলের চা-জলখাবার এমনকী রাতের মেনুও পাঠানো হয়েছে। আপাতত ঠিক হয়েছে, শিলিগুড়ির কাওয়াখালিতে প্রধানমন্ত্রীর সভা হবে।
মোদীর খাদ্য তালিকার পুরোটাই নিরামিষ। সকালে চায়ের সঙ্গে শুধু মারি বিস্কুট। প্রাতঃরাশে চিঁড়ের পোলাও না হলে উপমা, ইডলি-সম্বর। সঙ্গে পাউরুটি ও মাখনের ব্যবস্থা রাখতেও বলা হয়েছে। দুপুরের খাবারের পরে ফলের কথা লেখা রয়েছে সরকারি নির্দেশিকায়। পাশে বন্ধনীতে লেখা রয়েছে ফলের স্বাদ যেন টক না হয়। প্রধানমন্ত্রীর জন্য দুপুরে স্যুপ, হাতরুটি, ভাত, ডাল এবং দু’রকমের তরকারির ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। বিকেলে থাকবে চা ও বিস্কুট। রাতে থাকার কথা না থাকলেও মেনুতে নিরামিষ খিচুড়ি, রুটি, তরকারি ও দইয়ের কথা লেখা রয়েছে। এক আধিকারিকের দাবি, “প্রয়োজন হলে কি আয়োজন হবে তা নিয়ে যাতে হাতড়াতে না হয় তাই এই ব্যবস্থা।”