বিমল গুরুং
সুপ্রিম কোর্টে সুরাহা পেলেন না বিমল গুরুং-রোশন গিরিরা।
পাহাড়ে নির্বাচনের প্রচারে অংশ নেওয়ার জন্য গ্রেফতারি থেকে বাঁচতে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দুই নেতা গুরুং ও রোশন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু শীর্ষ আদালত তাঁদের আগাম জামিনের জন্য কলকাতা হাইকোর্টেই আর্জি জানাতে বলেছে। চার দিনের মধ্যে বিমল-রোশনদের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে হবে। তাঁদের জন্য একমাত্র স্বস্তির কথা— হাইকোর্টের ফয়সালা পর্যন্ত পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করতে পারবে না বলে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে। হাইকোর্টকেও দ্রুত মামলার ফয়সালা করতে বলেছে শীর্ষ আদালত।
লোকসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে চান বলে আপাতত গ্রেফতারি থেকে সুরাহা চেয়ে বিমল গুরুং ও রোশন গিরি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁদের যুক্তি ছিল, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে এবং হেনস্থার উদ্দেশ্যে অজস্র এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বলে আগামী লোকসভা ভোটের প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে তাঁদের সামনে বাধা তৈরি হয়েছে। সেই কারণেই সুপ্রিম কোর্ট থেকে অন্তর্বর্তী সুরাহা চেয়ে বিমল-রোশনের দাবি ছিল, এর মধ্যে সময় পেলেই তাঁরা আইন মেনে আগাম জামিনের আবেদন জানাবেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
কিন্তু রাজ্য সরকার যুক্তি দেয়, এফআইআর-এ যথেষ্ট গুরুতর অপরাধের কথা রয়েছে। তা এই ভাবে খারিজ করে দেওয়া যায় না। আগাম জামিনের জন্যও পর্যাপ্ত সময় ছিল। এত দিন তা করা হয়নি। এখন সুপ্রিম কোর্ট আগাম জামিন দিতে পারে না।
আজ বিচারপতি অরুণ মিশ্র, বিচারপতি এম শান্তনাগৌড়া ও বিচারপতি নবীন সিনহার বেঞ্চ রায় দেয়, বিমল-রোশনদের হাইকোর্টের কাছে আগাম জামিনের জন্য আর্জি জানানোর সুযোগ দেওয়া হল। যে হেতু ১৮ এপ্রিল পাহাড়ে ভোট, সুপ্রিম কোর্ট তাই হাইকোর্টকে অনুরোধ জানিয়েছে, জামিনের আবেদন নিম্ন আদালতে যেন ফেরত পাঠিয়ে না দেওয়া হয়। রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ‘আগামী চার দিনের মধ্যে জামিনের আর্জি দায়ের করা হলে আশা করা যায়, হাইকোর্ট তা দ্রুত নিষ্পত্তি করবে এবং দেরি না করে অন্তর্বর্তী নির্দেশ জারি করবে।’ তবে সুপ্রিম কোর্ট যে কোনও মত জানাচ্ছে না, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিচারপতিরা।
গত ডিসেম্বর মাসেই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, আপাতত বিমল-রোশনের বিরুদ্ধে কোনও ‘দমনমূলক পদক্ষেপ’ অর্থাৎ গ্রেফতার করা যাবে না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, হাইকোর্টের রায় পর্যন্ত ওই সুরাহা বহাল থাকবে।