মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
‘কুৎসা’ এখন আর স্পর্শ করে না তাঁকে। রবিবার নদিয়ার একটি নির্বাচনী সভায় এই মন্তব্য করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘এ সব শুনলে ছোটবেলায় কষ্ট হত। এখন চোর বললেও আমার কিছু যায়আসে না। আমি এ সবের অনেক উর্ধে চলে গিয়েছি।’’
বিরোধী দলগুলি তো বটেই ভোটের প্রচারে এসে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শনিবারই তাঁর দিকে আঙুল তুলেছিলেন। দক্ষিণ দিনাজপুরে তিনি বলেছিলেন, আগে তৃণমূলনেত্রীকে স্বচ্ছ মনে করলেও এখন সে ধারণা বদলে গিয়েছে তাঁর। এদিন গয়েশপুরের সভায় তার জবাব দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাকে চোর বলে বলুক। অনেক কুৎসা শুনেছি। অনেক মার খেয়েছি।’’
প্রধানমন্ত্রীর তোলা অভিযোগের উল্লেখ না করলেও মমতা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তাঁর জবাব। তিনি বলেন, ‘‘আমি আটবারের সাংসদ। চাইলে এক লক্ষ টাকা পেনশন নিতে পারতাম। এক পয়সাও নিই না। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবেও এক লক্ষ টাকা বেতন নিতে পারতাম। কিন্তু নিই না। গাড়ির তেলের খরচও নিই না। চা খেলে কিনে খাই। চুরি ডাকাতি করি না।’’ সেই সঙ্গে নিজের প্রয়োজন উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘‘আমার কী করে চলে? চুরি ডাকাতি থেকে নয়। লেখা ৮৭ টা বই আছে। চল্লিশ টাকা বিক্রি হলে আমি চার টাকা রয়্যালটি পাই। আর গানের সুর দিয়ে যা পাই তা দিয়ে আমার চলে যায়।’’ তাঁর কথায়, ‘‘কীসে লাগে আর? সোনা খাব ? মুক্তো খাব? আমি একবেলা খাই। কোনও না কোনও বাড়ি থেকে চলে আসে।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
নির্বাচনী প্রচারে দুর্নীতি নিয়ে বারবার তাঁর পরিবারের দিকেও আঙুল তুলেছে বিরোধীরা। প্রধানমন্ত্রীও রাজ্যে এসে ‘বুয়া-ভাতিজা’র কথা বলে অভিযোগ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী এদিন ঘুরিয়ে সেই অভিযোগের জবাবে বলেন, ‘‘ আমার কোনও পরিবার নেই। রাজ্যই আমার পরিবার। আমি একা। আমার মা মারা গিয়েছেন। এখন আপনারাই আমার বাবা-মা।’’