জিতুজুড়ি বাজারে।—নিজস্ব চিত্র।
সকাল-সকাল অশোকবাবুর মিষ্টির দোকানে হাজির মুখ্যমন্ত্রী। গত বার কাজের চাপে তাঁর ভোট দিয়ে হওয়া ওঠেনি। এ বারে যেন তেমনটা না হয়, বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
পাশে থাকা স্পিকারেরও মুখে একই কথা, ‘‘দেশ গড়তে ভোট দেওয়া দরকার। দোকান সামলানো যেমন জরুরি, তেমনই দেশ সামলাতে ভোট দেওয়াও প্রয়োজন।’’
কাঁচুমাচু মুখে অশোকবাবু জানালেন, এ বার আর ভুল হবে না। আগে ভোট, তার পরে সব কাজ।
মঙ্গলবার সকালে মানবাজারের জিতুজুড়ি গ্রামের বাজারে এই ভাবে ভোট দেওয়ার জন্য প্রচারে নামতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী, স্পিকার ও অন্য মন্ত্রীদের। এই মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য জিতুজুড়ি দেবাশিস হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী জয়শ্রী মুখোপাধ্যায়। আর স্পিকার দ্বাদশ শ্রেণির সুতপা কর্মকার। মন্ত্রীরাও সব তাঁদেরই সহপাঠী।'
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এরা সকলে যুব সংসদে গত বছরে নকল বিধানসভায় নানা ভূমিকায় ছিল। আর এ দিন সকালে এঁরাই সকলে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তায় নামে ভোট দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে।
স্কুলের টিচার-ইন-চার্জ ত্রিলোচন মল্লিক বলেন, ‘‘স্কুলের ‘ইলেক্ট্রোরাল লিটারেসি ক্লাবের’ তরফে পড়ুয়ারা আজ ভোট সচেতনতায় প্রচার চালিয়েছে। গত বছরে স্কুল যুব সংসদে ব্লক স্তরে প্রথম হয়েছে। নকল বিধানসভা পরিচালনায় পড়ুয়ারা দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে।’’
শিক্ষক কিয়ানন্দ মুখোপাধ্যায়ও জানান, স্কুলের পড়ুয়ারা যুব সংসদ প্রতিযোগিতায় ফি বছর স্থান লাভ করে। বেশ কয়েকটি পুরস্কারও পেয়েছে। ভোটাধিকার না পেলেও কেন ভোট দেওয়া জরুরি, তা সাধারণ ভোটারদের বোঝাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে পড়ুয়ারা।
বিডিও (মানবাজার ১) নীলাদ্রি সরকারও পড়ুয়াদের ভূমিকার প্রশংসা করে জানান, ওই স্কুলের ‘ইলেক্ট্রোরাল লিটারেসি’ ক্লাবের ভূমিকা ভাল। সাধারণকে বুথমুখী করতে এ ধরনের প্রচার কাজে লাগবে।
ভোটের পরে ভোটদানের বুথ-ফেরত রিপোর্টে অপেক্ষায় পড়ুয়ারা।