পাশে: ইসলামপুর থানার রামগঞ্জে প্রচারে দীপা দাশমুন্সি। নিজস্ব চিত্র
সকালে এক কাপ লাল চায়ের সঙ্গে তিন থেকে চারটে স্লাইজ়ড পাউরুটি। দুপুরে সেই অর্থে না-খাওয়াই। সন্ধেয় চা-বিস্কুট। রাতে তরকারির সঙ্গে দু’টো রুটি। এই হল রায়গঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী দীপা দাশমুন্সির সারাদিনের খাদ্যৃতালিকা। ভারী খাবার আপাতত একেবারেই বন্ধ। মশলাদার খাবার অপছন্দ করেন, ব্যাপারটা এমন নয়। কিন্তু ভোটের বাজারে নির্বিঘ্নে ছোটাছুটির জন্য হাল্কা মশলাহীন খাবারের উপরেই থাকছেন দীপা।
সকালেই দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে বাড়ি থেকে গাড়িতে বেরোচ্ছেন তিনি। রাত পর্যন্ত কোথাও কর্মিসভা, কোথাও পথসভা করে টানা নির্বাচনী প্রচার। বাড়ি বাড়ি গিয়েও প্রচার চালাতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দিনভর শরীরকে সুস্থ রাখতে ভারী খাবার বর্জন করেছেন বেশ কিছুদিন আগে থেকেই। দীপা নিজেই জানিয়েছেন, প্রতিদিন সকালে এক কাপ লাল চায়ের সঙ্গে তিন থেকে চারটে পাউরুটি খেয়ে বেরোচ্ছেন তিনি। দুপুরে দলীয় কর্মীদের কাছ থেকে কখনও ডাবের জল, কখনও কয়েক টুকরো আপেল, ন্যাশপাতি অথবা আঙুর খাচ্ছেন টুকটাক। সন্ধেয় লাল চা ও দু’টি বিস্কুট। রাতে বাড়ি ফিরে তেল-মশলাবিহীন তরকারির সঙ্গে দু’টি রুটি। বাইরের জল খান না। সবসময় দীপার গাড়িতে বোতলবন্দি পানীয় জল মজুত থাকে। আচমকা মাথাব্যথা হলে ওষুধও ঝটপট খেয়ে নেন তিনি। দীপা বললেন, ‘‘সারাদিন কিছু না খেলেও আমার কোনও সমস্যা হয় না। কিন্তু প্রচার চলাকালীন আমার ঘনঘন লাল চা লাগবেই। যতবার লাল চা খাই, ততবার যেনও নতুন করে এনার্জি পাই। কখনও চা ফুরিয়ে গেলে রাস্তার ধারের দোকানে অথবা দলীয় কর্মীদের, বা সাধারণ ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে চা খাই।’’
দীপার কথায়, ‘‘২০০৬ সালে প্রথমবার গোয়ালপোখর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হই। এরপর ২০০৯ সালে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদও নির্বাচিত হই। অতীতে স্বামী প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি রায়গঞ্জ, হাও়ড়া ও কলকাতা থেকে একাধিকবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। তাই নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন কীভাবে শরীরকে সুস্থ রাখতে হবে, সেই বিষয়ে আমার অনেক পুরনো অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাছাড়া, গত কয়েকবছর ধরে আমি হাল্কা খাবার খেতেই বেশি পছন্দ করি।’’