লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

মন্ত্রীর প্রাসাদোপম বাড়ি, কৃষক বিক্ষোভের আঁচ দক্ষিণ দিনাজপুরে

মাটির বাড়ি আর পুকুর ঘেরা গ্রামের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছেই যেন চোখ আটকে যায়। অজপাড়াগাঁয়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে একটি প্রাসাদোপম বাড়ি!

Advertisement

সোমনাথ মণ্ডল

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৯ ১৬:১৫
Share:

উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা। নিজস্ব চিত্র।

কৃষকদের অসন্তোষের ক্ষোভে আর জেলায় নেতাদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে এলোমেলো হয়ে গিয়েছে বালুরঘাটে তৃণমূলের নির্বাচনী প্রচার। অর্পিতা ঘোষের সভায় ভিড় জমছে না। যাঁরা ভিড় করবেন, তাঁরাই তো মুখ ফিরিয়ে রয়েছেন। এলাকায় ইতিউতি অভিযোগ, এক শ্রেণির নেতার লাফিয়ে লাফিয়ে সম্পদবৃদ্ধিও সাধারণ মানুষের মনে ছাপ ফেলেছে।

Advertisement

সবুজ ধানখেতের মাঝে কালো পিচের রাস্তা এঁকেবেঁকে চলে গিয়েছে কড়াইচেঁচড়া গ্রামের দোরগোড়ায়। তার পর সিমেন্টের রাস্তা। মাটির বাড়ি আর পুকুর ঘেরা গ্রামের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছেই যেন চোখ আটকে যায়। অজপাড়াগাঁয়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে একটি প্রাসাদোপম বাড়ি!

এ রাজ্যের চাষিদের জন্য নানাবিধ প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগ সত্ত্বেও বাস্তবে কৃষকেরা তার কতটা সুবিধা পেয়ে থাকেন? দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট, কুমারগঞ্জ, তপন, গঙ্গারামপুর, হরিরামপুর, কুশমণ্ডি ব্লকের অধিকাংশ চাষির অভিজ্ঞতা অবশ্য খুব একটা ভাল নয়।দক্ষিণ দিনাজপুরের ভোটে যে এর প্রভাব পড়বে, তা ভালই বুঝতে পরাছেন জেলার নেতারাও। এখনও পর্যন্ত তেমন বড় জনসভা করতে পারেননি তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষ। এখনও জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র এবং শঙ্কর চক্রবর্তী গোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।

Advertisement

তাঁর বাড়ি নিয়ে যে এলাকায় চর্চা হচ্ছে, তা-ও বাচ্চুর কানে পৌঁছেছে। এ বিষয়ে তাঁর স্পষ্ট উত্তর: “আমি পেশায় শিক্ষক। বালুরঘাটে অনেক শিক্ষক রয়েছেন। তাঁদের তুলনায় আমার বাড়ি কিছুই নয়। আমাদের যা সম্পত্তি ছিল, অনেকেরই নেই। এ সব নিয়ে যদি বিরোধীরা কথা বলেন, আমার কিছু বলার নেই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন