প্রচারে: অমর সিংহ রাই ও মোর্চা নেতা বিনয় তামাং। নিজস্ব চিত্র
জানুয়ারির শেষে দার্জিলিং সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন পাহাড়ের বাসিন্দাদের ‘আইডেন্টিটি’ বা ‘আত্মপরিচয়’ রক্ষায় লড়াই করবেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার বাগডোগরায় নেমে অমর সিংহ রাইও জানিয়ে দেন, গোর্খা আত্মপরিচয় ও জাতিসত্তার বিষয়টিই তাঁর অগ্রাধিকার।
তৃণমূলের দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী এ দিন বাগডোগরা থেকে গাড়িতে চেপে শোভাযাত্রা করে পাহাড়ে যান। বিমানবন্দর থেকে তাঁর গাড়িতে এক দিকে ছিলেন বিনয় তামাং, অন্য দিকে গৌতম দেব। গাড়িতে মোর্চা ও তৃণমূলের পতাকাও ছিল পাশাপাশি। বিনয় ও গৌতমকে সঙ্গে নিয়ে অমর বলেন, ‘‘বিজেপি পাহাড়ের বাসিন্দাদের ধোঁকা দিয়েছে। কোনও প্রতিশ্রুতি পালন করেনি। রাজ্যের তত্ত্বাবধানে পাহাড় জুড়ে উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। তাকে হাতিয়ার করেই আমরা মানুষের কাছে পৌঁছব।’’ তবে আলাদা রাজ্যের দাবি সংক্রান্ত প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি।
প্রার্থীকে অভ্যর্থনা জানাতে এদিন শতাধিক গাড়ি নিয়ে বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়েছিলেন মোর্চা ও তৃণমূলের পাহাড়-সমতলের কর্মীরা। টার্মিনালের সামনে কয়েকশো মোর্চা ও তৃণমূল সমর্থক পতাকা হাতে স্লোগান দিতে থাকেন। বিমানবন্দর থেকে হুড খোলা জিপে দার্জিলিং মোড় পর্যন্ত আসেন অমর। তার পর গাড়িতে দার্জিলিং রওনা হন। দার্জিলিং মোড় পর্যন্ত একাধিক জায়গায় র্যালি দাঁড়ায় তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের দাবিতে। বিনয় পরে বলেন, ‘‘বুথস্তর থেকে প্রচারের কাজ শুরু হয়েছে। তৃণমূলের সঙ্গে যৌথ ভাবে প্রচার কর্মসূচিও ঠিক করা হবে। পাহাড় ও সমতলে কয়েকটি বড় সভা করব আমরা।’’ গৌতম বলেন, ‘‘মোর্চা ও তৃণমূল একসঙ্গে অমর সিংহ রাইয়ের হয়ে প্রচার করবে।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
পাহাড়ের পথে শিমুলবাড়ি, সুকনাতেও অমরকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। কার্শিয়াংয়ে মিছিল থামিয়ে শহরের রাস্তায় হাঁটেন অমর, বিনয়রা। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন অমর। এর পরে সোনাদা, ঘুম, টুং, জোড়বাংলো, বাতাসিয়া লুপেও গাড়ি থেকে নেমে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। দার্জিলিং স্টেশন থেকে মোটরস্যান্ড পর্যন্ত মিছিলেও যোগ দেন। তৃণমূল, মোর্চার কয়েকশো সমর্থক মিছিলে ছিলেন। বাড়ির উপর থেকে ফুল ছিটিয়ে অভ্যর্থনা জানান হয় প্রার্থীকে। অনীত থাপা জানান, স্যোশাল মিডিয়াতে প্রচারের উপরও তাঁরা বিশেষ জোর দিচ্ছেন।