ক্ষোভ চেপেই প্রচারে বিপ্লব

কর্মীদের ‘ভাঙা মনোবলে’ প্রলেপ দিয়ে তাঁদের কীভাবে প্রচারে কাজে লাগানো যায়, তা নিয়েই আলোচনা হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গঙ্গারামপুর শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৯ ০৭:৫৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

অর্পিতা ঘোষকে নিয়ে যাবতীয় ক্ষোভ চেপে রেখেই তাঁর হয়ে প্রচারে নামলেন তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র। আজ, রবিবার কোর কমিটির বৈঠকে বসছেন তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব। দলেরই একটি সূত্রের খবর, এই বৈঠকেই দলের রণকৌশল স্থির হবে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক দলীয় নেতা জানান, কর্মীদের ‘ভাঙা মনোবলে’ প্রলেপ দিয়ে তাঁদের কীভাবে প্রচারে কাজে লাগানো যায়, তা নিয়েই আলোচনা হবে।

Advertisement

প্রার্থী হিসেবে অর্পিতাকে প্রথম থেকেই পছন্দ করেননি বিপ্লব। এমনকি, অর্পিতাকে প্রার্থী ঘোষণা করে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভুল করলেন বলেও প্রকাশ্যে মন্তব্য করেন বিপ্লব। পাশাপাশি, অর্পিতাকে জেতানো কঠিন হয়ে পড়বে বলে মতামত দেন বিপ্লবের ভাই তথা গঙ্গারামপুরের পুরপ্রধান প্রশান্ত মিত্রও। দলনেত্রীর কাছে প্রার্থী বদলের দরবারও করেছিলেন মিত্র পরিবার। কিন্তু তার পরেও দলনেত্রী সিদ্ধান্ত বদল না করায় অবশেষে অর্পিতাকেই প্রার্থী হিসেবে মেনে নেন বিপ্লব। কিন্তু তৃণমূল স্তরের কর্মীদের ভাঙা মনোবল উদ্ধার করে দলের প্রার্থীকে জেতাতে আজ তাঁরা বৈঠকে বসছেন বলে জানান তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব।

বিপ্লবের ভাই বলেন, ‘‘দলের নিচুতলার কর্মিদের একটু ক্ষোভ রয়েছে। সেটা কী ভাবে মেটানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা হবে। সব ক্ষোভ মিটিয়ে জেলা থেকে আমাদের দলীয় প্রার্থীকে জেতানোর জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। বৈঠক থেকেই প্রচার কৌশল স্থির হবে।’’ সূত্রের খবর, অর্পিতার নাম ঘোষণা হতেই গোটা জেলা জুড়ে বিপ্লব-অনুগামীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। অনুগামীরা অর্পিতাকে কোনওভাবেই প্রার্থী হিসেবে মানতে যে চাইছেন না, তা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের বক্তব্য জানিয়ে প্রকাশ করছিলেন। এর মাঝে বিপ্লব মিত্র ও তাঁর ভাইয়ের বিজেপিতে যাওয়ার জল্পনাও ছড়ায়। যা নিয়ে বিস্তর টালবাহানা চলে। অবশেষে দলনেত্রীর নির্দেশে অর্পিতাকে জেতানোর দায়িত্ব দেওয়া হয় বিপ্লবকেই। কিন্তু দলের অন্দরের খবর, প্রার্থী নিয়ে দলীয় নেতাদের একাংশের ক্ষোভ এখনও মেটেনি। পাশাপাশি, প্রার্থী ঘোষণার পরে জেলা জুড়ে অর্পিতার বিরুদ্ধে তৃণমূলের নেতাদের একাংশ ‘নেতিবাচক’ প্রচার শুরু করেছিল। এই দুইয়ের ধাক্কায় দলের নেতা-কর্মীদের একাংশ কার্যত দিশেহারা অবস্থায় পড়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক নেতার কথায়, ‘‘প্রার্থী নিয়ে যা শুরু হয়েছে তাতে ক্ষত মিটবে না। আমি নিজেও আর প্রচারে বের হচ্ছি না। ইলেকশন ডিউটি নিয়ে চলে যাব।’’ যদিও প্রার্থী অর্পিতা বলেন, ‘‘জেলা সভাপতির নির্দেশ মতো প্রচার করা হবে। কোনও সমস্যা কোথাও নেই। আমরা জিতবই।’’

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন