আরাবুল ইসলাম। ফাইল চিত্র।
পাওয়ার গ্রিড নিয়ে জট কেটেছে কয়েক মাস আগে। কিন্তু ভাঙড়ে আরাবুল ইসলামের সঙ্গে সেখানকার জমি কমিটির অহি-নকুল সম্পর্কে ছেদ পড়েনি। ভোটের মুখে শুক্রবার ফের তা প্রকাশ্যে এল।
এ দিন বিকেলে পোলেরহাট-২ পঞ্চায়েতের দক্ষিণ গাজিপুরে নির্বাচনী সভা করেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তার আগে সেই সভায় আসাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষে গোলমাল হয়। দু’পক্ষই রাস্তা অবরোধ করে। পুলিশ অবরোধ হটায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকাশবাবুর সমর্থনে ওই জনসভার আয়োজন করেছিল ভাঙড়ের জমি কমিটি। সেখানে যোগ দিতে কাশীপুরের স্বরূপনগর থেকে কমিটির একটি মিছিল আসছিল। ওই সময় নিজের ব্যক্তিগত কাজ সেরে তৃণমূল নেতা আরাবুল পোলেরহাটের বাড়ি ফিরছিলেন। শ্যামনগর মোড়ে তিনি গাড়িতে বসে এলাকার দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেই সময় জমি কমিটির মিছিলটি চলে আসে। দু’ পক্ষের মধ্যে কটূক্তিকে কেন্দ্র করে গোলমাল হয়। ঘটনার প্রতিবাদে বিকেলে শ্যামনগর মোড়ে অবরোধ করেন জমি কমিটির লোকজন। নতুনহাটে অবরোধ করেন আরাবুল ও তাঁর অনুগামীরা।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আরাবুলের অভিযোগ, ‘‘আমার গাড়িতে লাঠি দিয়ে ভাঙচুর চালায় জমি কমিটির লোকেরা। আমাকে ধাক্কাধাক্কি করে। নিরাপত্তারক্ষী এবং স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায় ওই এলাকা থেকে বেরোতে পারি।’’ অভিযোগ উড়িয়ে জমি কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মির্জা হাসান দাবি করেন, ‘‘মিথ্যা অভিযোগ করছেন আরাবুল। তৃণমূলই আমাদের মিছিল আটকে দেওয়ার চেষ্টা করে। মানুষ প্রতিবাদ করলে ওঁরা পালিয়ে যান।’’ সন্ধ্যায় কাশীপুর থানায় জমি কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন আরাবুল। তবে, রাত পর্যন্ত জমি কমিটির তরফে অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানিয়েছে বারুইপুর জেলা পুলিশ। গোলমাল-অবরোধ হলেও বিকেল চারটে নাগাদ নির্ধারিত সূচি মেনেই বিকাশবাবুর সভা হয়। তিনি বলেন, ‘‘আরাবুলের বিরুদ্ধে খুনের মামলা চলছে। ওঁর এলাকায় ঢোকা নিয়ে আদালতের বিধি-নিষেধ আছে। তবু তিনি এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। মানুষকে ক্রমাগত ভয় দেখিয়ে ভোট লুটের পরিকল্পনা করছেন।’’