কারও ফুলকপি, কারও বা ব্যাট!

জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিক অরবিন্দকুমার মিনা জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের একগুচ্ছ প্রতীকের থেকে নির্দল প্রার্থীরা তাঁদের পছন্দ মতো প্রতীক বেছে নেন।

Advertisement

গৌর আচার্য

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৯ ০৩:৫৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

কারও প্রতীক ফুলকপি। আবার কেউ ভোটে লড়ছেন নারকোল বাগান প্রতীকে। কেউ বেছেছেন ফল ভর্তি ঝুড়ি, কেউ ব্যাট।

Advertisement

তাঁরা সকলেই রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থী। এই কেন্দ্রে এ বার ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জন নির্দল। তাঁরা কেন এমন প্রতীক বেছে নিলেন?

জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিক অরবিন্দকুমার মিনা জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের একগুচ্ছ প্রতীকের থেকে নির্দল প্রার্থীরা তাঁদের পছন্দ মতো প্রতীক বেছে নেন। সেই মতো কালিয়াগঞ্জের উত্তর শিবপুর ও হেমতাবাদের কাঁটাবাড়ি বিষ্ণুপুর এলাকার দুই বাসিন্দা উকিল অঞ্জয় দেবশর্মা বেছেছেন ফুলকপি, কুমারেশ সরকারের প্রতীক নারকোল বাগান। অঞ্জয়ের কথায়, ‘‘বেশিরভাগ মানুষই ফুলকপি খেতে ভালবাসেন। তাই ওই প্রতীক বেছেছি।’’ কুমারেশের বক্তব্য, ‘‘বাড়ির আশপাশে চোখ ঘোরালেই নারকোল গাছ। তাই বাসিন্দারা সহজেই আমার প্রতীক মনে রাখতে পারবেন।’’

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

রায়গঞ্জের কর্ণজোড়া কালীবাড়ি এলাকার বাসিন্দা নির্দল বিনয়কুমার দাস আবার বেছে নিয়েছেন তূর্য বাদ্যকারকে। তাঁর মতে, অতীতে বিয়ে, পুজো, মঙ্গলযোগ্য সহ বিভিন্ন শুভ অনুষ্ঠানে তূর্য বাজতে দেখা যেত। তাই তূর্যের সঙ্গে শুভ বিষয়টি জড়িয়ে রয়েছে। রায়গঞ্জের বালিয়াদিঘির মহম্মদ সাজাহান বাদশা কৃষিজীবী। লোকে যাতে সহজে মনে রাখতে পারেন, সেই জন্য ফল ভর্তি ঝুরি বেছে নিয়েছেন। ক্রিকেট ব্যাট প্রতীক নিয়ে ভোটের ময়দানে নেমেছেন রায়গঞ্জ শহরের অশোকপল্লি এলাকার রাজু পাল। তিনি একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী। তাঁর যুক্তি, ‘‘আমি ক্রিকেট খেলতে ও দেখতে ভালবাসি। আমার মতো লোকেরা ব্যাট ভালই চেনেন। তাই ওই প্রতীক বেছে নিয়েছি।’’ তাঁদের কারও প্রতীকের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতীকের প্রত্যক্ষ মিল নেই বলেই দাবি।

দেওয়াল লিখন, ফ্লেক্স করছেন? পাঁচ জনেরই জবাব, যতটা সম্ভব করছেন। তবে লোকসভা কেন্দ্র বিরাট বড়। কত জায়গায় প্রচার করতে পারবেন, তা নিয়ে দ্বিধা কাটেনি।

এই নির্দল প্রার্থীদের কারও কেন্দ্র জুড়ে তেমন পরিচিতিও নেই বলে রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি। তা হলে কেন ভোটে দাঁড়িয়েছেন? রাজুর জবাব, ‘‘ভোটে যোগ দেওয়াটা সম্মানের। আমি পুরসভার ভোটেও দাঁড়িয়েছিলাম।’’ বাকিদের দাবি, ভালই ভোট পাবেন। এক প্রার্থীর বক্তব্য, ‘‘কত জন চিনবেন বলুন তো!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন