প্রতীকী ছবি।
পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বললেন, ‘‘নির্বাচনের সময়ে এই ধরনের হিংসা গণতন্ত্রের জন্য চিন্তার বিষয়।’’ তৃণমূল পাল্টা অভিযোগ আনল, বিজেপিই ঝাড়খণ্ড থেকে লোক এনে পশ্চিবমবঙ্গে আশান্ত ছড়াচ্ছে।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রক্তপাতের সাক্ষী থেকেছে পশ্চিমবঙ্গে। এ বারও সেই আশঙ্কা থাকায় সাতটি পর্বে রাজ্যে ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আজ এবিপি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে অতীত হিংসার বিষয়টি উঠে এলে উদ্বেগ জানান মোদী। বলেন, ‘‘অতীতের নির্বাচন কমিশনেরা এ বিষয়ে রিপোর্ট দিয়েছেন। সম্ভবত আদালতেও রিপোর্ট হয়েছে। যখন বামেরা ছিল তখন ওই অবস্থা ছিল। দিদি আসার পরেও নির্বাচনে হিংসা বেড়েছে। এই ধরনের ঘটনা গণতন্ত্রের জন্য চিন্তার বিষয়। গণতন্ত্রে যাঁরা বিশ্বাস করেন, আশা করব তাঁরা এর উপর নজর রাখবেন। যাতে এমনটা না হয়।’’
কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের পাল্টা মন্তব্য, ‘‘মোদী সাহেব তো কোনও লেখাপড়া করেন না। তথ্যও জানেন না। বাংলাকে অপমানিত করার জন্য এ সব বলেন। বাম আমলে বছরে ৪০০ মানুষ খুন হতেন শুধু জঙ্গলমহলে। ওই সময়ে নেতাই হয়েছে। দার্জিলিঙে আগুন জ্বলেছে। আমরা এসে সে সব বন্ধ করেছি। এখন যেটুকু যা হচ্ছে তা বিজেপি ঝাড়খণ্ড থেকে লোক এনে করাচ্ছে। ওরা শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। বাংলার মানুষ এর জবাব দেবেন।’’
দু’দিন আগে স্পিডব্রেকার বনাম এক্সপায়ারি বির্তকে জড়িয়ে পড়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিলিগুড়ির সভা থেকে মমতাকে উন্নয়নের পথে ‘স্পিডব্রেকার’ বলে আক্রমণ করেছিলেন মোদী। জবাবে মোদীকে ‘এক্সপায়ারিবাবু’ বলে কটাক্ষ করেন মমতা। আজ ওই সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মোদী বলেন, ‘‘সমস্ত ব্যক্তি জন্ম নেয় এক্সপায়ারি তারিখ নিয়েই। এমন কোনও জীব নেই যার এক্সপায়ারি তারিখ নেই। আমার এক্সপায়ারি তারিখ কবে, তা আমি জানি না। যদি উনি জানেন তা হলে জানিয়ে দেওয়া উচিত।’’ তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের ‘এক্সপায়ারি’ নিয়ে মোদীর মন্তব্য, ‘‘সে তো ১৩০ কোটি দেশবাসী ঠিক করবেন।’’