বিবেক দুবে। —ফাইল চিত্র।
দ্বিতীয় দফার ভোট নিয়ে কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে শনিবার সকালেই দিল্লি উড়ে গেলেন পশ্চিমবঙ্গে বিশেষ পুলিশ-পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। এ দিন কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন বিবেক। রামনবমীতে বিজেপি সশস্ত্র মিছিলের ডাক দিয়েছে, এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিবেক। যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের শুধু বলেন, “দ্বিতীয় দফার ভোট নিয়েই এখন ভাবছি। আর সে ব্যাপারে কথা বলতেই দিল্লি যাচ্ছি।”আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের ভোট নিয়ে ইতিমধ্যেই বিশেষ রিপোর্ট পাঠিয়েছেন বিবেক। প্রথম দফায় উত্তরবঙ্গের ওই দুই কেন্দ্রের ভোট নিয়ে বিশেষ রিপোর্টে এ রাজ্যে বেশি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর জন্য সুপারিশ করেছেন।
প্রথম পর্বে দু’চারটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া ভোট শান্তিতেই মিটেছে। সাধারণ এবং পুলিশ-পর্যবেক্ষকদের রিপোর্টেও মারাত্মক রিগিংয়ের কোনও খবর নেই। কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফে কমিশনে যে-রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, আলিপুরদুয়ারে ২০-২৫টি বুথে এবং কোচবিহারে ৫০-৬০টি বুথে রিগিংয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়ে থাকতে পারে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি) অন্তত ৫০টি ক্ষেত্রে অভিযোগ পেয়ে বুথ থেকে বেআইনি জমায়েত সরিয়ে দিয়েছে বলেও কমিশনে রিপোর্ট দিয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্তারা।
বিশেষ পুলিশ-পর্যবেক্ষক মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ভোটের কথা জানালেও কমিশনকে লিখেছেন, পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকে রাজ্য পুলিশের উপরে আর কারও আস্থা নেই। রাজ্য সরকারি কর্মী হয়েও অনেক ভোটকর্মী বিভিন্ন জায়গায় আরও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। রাজ্য পুলিশ দিয়ে অবাধ ভোট সম্ভব কি না, রাজ্যের বিশিষ্টজনেরাও সেই বিষয়ে সন্দিহান। এই অবস্থায় যত বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে আসবে, ভোটারদের মনোবল ততই বাড়বে বলে মনে করছেন বিবেক।
আরও পড়ুন: গদা দিয়ে কার মাথা ফাটাবেন? শিলিগুড়ির সভা থেকে বিজেপিকে আক্রমণ মমতার