Lopamudra Mitra

লোপামুদ্রাদের হেনস্থা, পুলিশ পাঠিয়ে উদ্ধার

২০১৬ সালের জানুয়ারিতে রামচক গ্রামে চ্যারিটি শোয়ের আয়োজন করেছিল স্থানীয় ‘আমরা ক’জন’ ক্লাব। সেখানে এক টিভি সিরিয়ালের অভিনেত্রীর আসার কথা থাকলেও তিনি আসেননি। তখন ক্ষুব্ধ জনতা ভাঙচুরও চালিয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৭ ২০:১৯
Share:

ছবি লোপামুদ্রার ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া।

অনুষ্ঠান করতে খেজুরির এক গ্রামে গিয়ে হেনস্থা হতে হয়েছে, আটকে রাখা হয়েছে তাঁর যন্ত্রশিল্পীদের গাড়ি— এমনই অভিযোগে ফেসবুকে সরব হলেন সঙ্গীতশিল্পী লোপামুদ্রা মিত্র।

Advertisement

কালীপুজো উপলক্ষে মঙ্গলবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি থানার রামচক গ্রামে জলসার আয়োজন করেছিল স্থানীয় একটি ক্লাব। সেখানেই লোপামুদ্রার দলের যন্ত্রশিল্পীদের আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার কথা জানিয়ে ফেসবুকে গায়িকা লিখেছেনও।

আরও খবর
অনুষ্ঠান করতে গিয়ে হেনস্থা, ফেসবুকে কী লিখলেন লোপা?

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে রামচক গ্রামে চ্যারিটি শোয়ের আয়োজন করেছিল স্থানীয় ‘আমরা ক’জন’ ক্লাব। সেখানে এক টিভি সিরিয়ালের অভিনেত্রীর আসার কথা থাকলেও তিনি আসেননি। তখন ক্ষুব্ধ জনতা ভাঙচুরও চালিয়েছিল। সেই ঘটনায় অনুষ্ঠানের আয়োজক অসীমকুমার দাস ওরফে খোকনের উপর ক্ষোভ ছিল ওই ক্লাবের ছেলেদের। লোপামুদ্রাও মঙ্গলবার খোকনের মাধ্যমেই অনুষ্ঠান করতে এসেছিলেন। তবে এ বারের উদ্যোক্তা ছিল ‘রামচক ব্রাইট ফিউচার’ ক্লাব। জেলার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘মঙ্গলবার রাতে ঘটনা জেনেই পুলিশ ওখানে গিয়েছিল। পুলিশের হস্তক্ষেপে আটক শিল্পীরা ছাড়া পান। তবে উনি (লোপামুদ্রা) কোনও অভিযোগ করেননি। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

মঙ্গলবার রাতে অনুষ্ঠান শেষে হেঁড়িয়ার কলাগেছিয়া পর্যন্ত চলে এসেছিলেন লোপামুদ্রা। তখনই জানতে পারেন, দলের যন্ত্রশিল্পীদের রামচকে আটকে রাখা হয়েছে। গাড়ি ঘুরিয়ে সেখানে যান লোপামুদ্রা। এর পর পুলিশ-প্রশাসনের হস্তক্ষেপে জট কাটে।

আরও খবর
দুই যুবতীর জীবে প্রেমের মাশুল মার-শ্লীলতাহানি

খোকনের উপর রাগেই যে ঘটনাটি ঘটেছে তা মানছেন ‘আমরা ক’জন’ ক্লাবের কর্মকর্তা অলোকেশ মণ্ডল। তাঁর দাবি, ভুল বোঝাবুঝিতে এমনটা হয়েছে। অলোকেশের কথায়, ‘‘আমাদের ক্লাবের ছেলেরা ভেবেছিল ওই গাড়িতে খোকনের যন্ত্রশিল্পীরা রয়েছেন। তাই ভুল করে গাড়ি আটকে দেয়।’’ আর যে ক্লাবের অনুষ্ঠানে এসে লোপামুদ্রাকে হেনস্থা হতে হয়েছে, সেই ‘রামচক ব্রাইট ফিউচার’-এর তরফে জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম দাস বলেন, ‘‘এই ঘটনার পরে ক্লাব সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। ক্ষমা চাইতে ওঁকে ফোনও করেছিলাম। আমার ক্লাবের ছেলেরা ঘটনায় জড়িত নয়। তবে আমাদের অনুষ্ঠানে এসেই তো এমনটা হল। তাই দায় থেকেই যায়।’’ খোকনের অবশ্য দাবি, ‘‘ক্লাব কর্তারা অযথা আমাকে দুষছেন। আমি নিয়ম মেনেই শিল্পীদের এনে অনুষ্ঠান করাই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement