আদালতে অনুমতি নিয়ে তবেই সল্টলেকে সিবিআইয়ের আঞ্চলিক দফতরে হাজিরা দিতে গেলেন মদন মিত্র। জামিনের পরে শুক্রবারই প্রথম ভবানীপুরের বাইরে পা রাখলেন তিনি।
এ দিন বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ তিনি সিজিও কমপ্লেক্স-এ পৌঁছন মদন। সিবিআইয়ের মুখোমুখি হওয়ার আগে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘আদালতের অনুমতি নিয়েই ভবানীপুরের বাইরে বেরিয়েছি। আদালতের নির্দেশ মেনেই চলব।’’ আদালতের নির্দেশ অনুসারে, ভবানীপুরের বাইরে যেতে পারবেন না তিনি। এ দিন তাঁর এই বন্দি দশাকে তিনি ‘বোতলবন্দি’ বলে মন্তব্য করেন। বলেন, ‘‘এখন আমি বোতলবন্দি। অর্থাৎ বোতলবন্দি দৈত্যের মতো আমার অবস্থা।’’
এ দিন মদনবাবুর আইনজীবীর আনা চিঠি সিবিআই গ্রহণ করেনি। সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার না থাকাতেই এই চিঠি গ্রহণ করা হয়নি বলে সিবিআই সূত্রে খবর। সে কারণে এ দিন সিবিআই দফতরে বেশ কিছু ক্ষণ বসে থাকতে হয় মদনবাবুকে।
সারদা গোষ্ঠীর আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় অভিযুক্ত এই তৃণমূল নেতাকে গত ৯ সেপ্টেম্বর জামিন দেয় আলিপুর দায়রা আদালত। জেল থেকে মুক্তি পেলেও ভবানীপুরের বাইরে যাওয়ার ওপরে নিষেদ্ধাজ্ঞা জারি করা হয়। সে দিন থেকেই তিনি ভবানীপুরের একটি হোটেলে থাকছেন। তাঁর ভবানীপুরের নিজের বাড়ি কালীঘাট থানা এলাকায় পড়ে যাওয়ায় সেখানেও যেতে পারেননি তিনি।